চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর রেকর্ড পরিমাণ কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং করেছে। বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও অটোমেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে বন্দর ব্যবহারকারীরা আরও বেশি সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন।
ডলারের উচ্চমূল্য, বিশ্বব্যাপী নানা অস্থিরতা আর নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় আমদানি-রপ্তানি খাতে বছরজুড়েই কিছুটা মন্দা চলছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস হাউসের পরিসংখ্যান বলছে, এ পরিস্থিতিতেও বেড়েছে পণ্য আমদানি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার একক কনটেইনার ও ১১ কোটি ৫০ লাখ টন খোলা পণ্য হ্যান্ডলিং করেছে সমুদ্র বন্দর। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে সাড়ে ১২ শতাংশ। আর জাহাজ বেশি এসেছে ৩৫১টি। তাই বছর শেষে নতুন রেকর্ড ছোঁয়ার আশায় কর্তৃপক্ষ। জাহাজ ও কনটেইনার জট শুণ্যে নেমে আসাকে বেশ ইতিবাচক মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
বন্দর ব্যবহারকারী বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়াডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহসভাপতি খায়রুল আলম সুজন বলছেন, বন্দর ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় আরও বাড়ালে গতিও বাড়বে।
২০২৪ সালে ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার একক কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে চট্টগ্রাম বন্দর। তারপরও কনটেইনার পরিবহনের বৈশ্বিক তালিকায় এক ধাপ পিছিয়েছে চট্টগ্রাম।




Comments