Image description

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাচনা বাজারে তীব্র যানজট ও অব্যবস্থাপনার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ফুটপাত হকারদের দখলে থাকা এবং যত্রতত্র অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড গড়ে ওঠার ফলে প্রতিদিনের চলাফেরা উপজেলাবাসীর জন্য দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সরজমিনে দেখা যায়, সাচনা বাজারের ৩০ ফুট চওড়া সড়কের প্রায় পুরোটাই হকার এবং ফলের দোকানপাটের দখলে। পথচারীদের চলাচলের জন্য অবশিষ্ট থাকে মাত্র ২-৩ ফুট জায়গা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সিএনজি, অটোরিকশা, মিনি ট্রাক ও মোটরবাইকের অবৈধ স্ট্যান্ড। বিশেষ করে সাচনা বাজারের সিএনজি রোড এবং ফেরিঘাট এলাকায় যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

বেহেলি, মমিনপুর-সাচনা রোড, রামনগর এবং ফেনারবাকসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত মানুষের যাতায়াতের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু এই বাজার। কিন্তু প্রবেশমুখগুলোতে শত শত গাড়ি এবং পরিবহন সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

সাচনা বাজারের ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়কের যানজটের মূল কারণ পরিবহন চালকদের নিয়ন্ত্রণহীন আচরণ। 

ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, ‘সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চালকরা যাত্রী নেওয়ার জন্য রাস্তার ওপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখে, ফলে মানুষ ও অন্য যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে।’

এ বিষয়ে সাচনা বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ আল আজাদ বলেন, ‘প্রশাসনের নির্দেশে আমরা কয়েকবার ফুটপাত খালি করার উদ্যোগ নিয়েছি, কিন্তু ব্যবসায়ীরা পুনরায় দোকান বসিয়ে যানজট সৃষ্টি করে। সিএনজি, অটোরিকশা ও মোটরবাইকের জন্য আলাদা তিনটি স্ট্যান্ড নির্ধারণ না করা পর্যন্ত এই দুর্ভোগ কমবে না।’

জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ প্রশাসন যানজট নিরসনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। ফুটপাত হকারমুক্ত রাখতে আমাদের অভিযান চলমান। তবে নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড না থাকায় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, পরিবহন মালিক-শ্রমিক এবং হকারদের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন।

দীর্ঘদিনের এই অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা ও পরিবহন সিন্ডিকেটের হাত থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।