Image description

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বা ভিভিআইপি হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এর ফলে এখন থেকে তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ও বিশেষ সুবিধাদি পাবেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। এতে বলা হয়, ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) আইন, ২০২১’-এর ধারা ২(ক)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে এই মর্যাদা দেওয়া হলো, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ভিভিআইপি হিসেবে যেসব সুবিধা ও নিরাপত্তা পাবেন:

আইন অনুযায়ী, ভিভিআইপি বা অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলতে সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার ঘোষিত অন্য যেকোনো ব্যক্তিকে বোঝানো হয়। ভিভিআইপি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া মূলত সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা সুবিধাদি পাবেন।

১. সার্বক্ষণিক দৈহিক নিরাপত্তা: তিনি যেখানেই অবস্থান করুন বা ভ্রমণ করুন না কেন, এসএসএফ তাকে সার্বক্ষণিক দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান করবে। এটিই বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব।

২. গোয়েন্দা সুরক্ষা: তার নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটাতে পারে—এমন যেকোনো বিষয়ে এসএসএফ আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদান করবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

৩. নিরাপত্তায় এসএসএফের বিশেষ ক্ষমতা: আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার বাসস্থান বা চলাচলের পথের আশেপাশে কারও উপস্থিতি বা গতিবিধি যদি নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর বলে মনে হয়, তবে এসএসএফ কর্মকর্তারা ওই ব্যক্তিকে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে পারবেন।

৪. শক্তি প্রয়োগের এখতিয়ার: যদি সন্দেহভাজন ব্যক্তি গ্রেপ্তারে বাধা দেন বা পালানোর চেষ্টা করেন, তবে এসএসএফ কর্মকর্তারা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব উপায় অবলম্বন করতে পারবেন। আইনে বলা হয়েছে, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর প্রয়োজনে ওই ব্যক্তির ওপর গুলি বর্ষণ বা এমন শক্তি প্রয়োগ করা যাবে, যাতে তার মৃত্যুও ঘটতে পারে।

বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। সরকারের এই ঘোষণার পর হাসপাতালেও তার নিরাপত্তায় বাড়তি ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।