Image description

খাবারকে সুস্বাদু করতে বাঙালির পাতে ঘি-এর কদর পুরোনো। তবে কেবল স্বাদ বাড়ানোই নয়, শীতকালে শরীর সুস্থ রাখতেও ঘি জাদুকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতের সময় প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ ঘি খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীর উষ্ণ থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ত্বক ও চুলের রুক্ষতা দূর হয়।

শীতে সুস্থ থাকতে ঘি কীভাবে কাজ করে, চলুন জেনে নেওয়া যাক এর ৫টি প্রধান উপকারিতা-

১. শরীর উষ্ণ ও কর্মক্ষম রাখে

শীতের জড়তা কাটাতে ঘি অত্যন্ত কার্যকরী। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে অভ্যন্তরীণ তাপ উৎপাদন করে। যারা শীতে অতিরিক্ত ঠান্ডা অনুভব করেন বা অলসতায় ভোগেন, তাদের জন্য ঘি শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে এবং দিনভর শরীর চনমনে রাখে।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

শীতকালে সর্দি-কাশিসহ নানা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। ঘিয়ে থাকা ‘বিউটাইরেট’ অন্ত্রের বা হজমতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আর অন্ত্র সুস্থ থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়। এটি প্রদাহ কমিয়ে শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।

৩. ত্বক ও চুলের যত্ন

শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া এবং চুল পড়ার সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা দেয়। ঘিয়ে থাকা প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ভেতর থেকে ত্বক ও চুলে পুষ্টি যোগায়। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।

৪. হাড় ও জয়েন্টের ব্যথা কমায়

ঠান্ডায় অনেকেরই হাড়ের জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায় এবং ব্যথা বাড়ে। ঘি হাড়ের সংযোগস্থলে প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট বা পিচ্ছিলকারক হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত ঘি খেলে জয়েন্টের জড়তা কমে এবং চলাফেরা সহজ হয়।

৫. পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে

শীতকালীন শাক-সবজি যেমন- গাজর, পালং শাক ও সরিষার শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে থাকে। এই ভিটামিনগুলো চর্বি-দ্রবণীয়, অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর চর্বি ছাড়া শরীর এগুলো শোষণ করতে পারে না। খাবারের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে শরীর সহজেই এসব পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে।

তাই এই শীতে নিজেকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পরিমিত পরিমাণ ঘি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।