দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি মালিকানাধীন ইসলামী ব্যাংক ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক চূড়ান্ত অনুমোদন ও লাইসেন্স ইস্যু করার পর মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) থেকে ব্যাংকটি দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু করে।
মতিঝিলে সেনা কল্যাণ ভবনে নতুন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজ শুরু হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে গভর্নর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
নতুন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। দায়িত্বগ্রহণের পর তিনি বলেন, সরকারি মালিকানায় নতুন একটি ইসলামী ব্যাংক চালু হওয়া জাতির জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ। ব্যাংককে শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করাতে ইতিমধ্যে কারিগরি টিম কাজ করছে।
তিনি জানান, ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য হবে আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংককে জাতির কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
দুপুরে গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে চেয়ারম্যান জানান, ব্যাংকের ভিশন-মিশন, আইন-কানুন ও সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনাই ছিল বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। সামনে পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং আইনসম্মতভাবে পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার কাজ আরও দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হবে।
এর আগে গত রোববার গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে বিশেষ বোর্ড সভায় সমস্যাগ্রস্ত পাঁচ ইসলামী ব্যাংক— ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক— একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে লাইসেন্স হস্তান্তর করে।
‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা, আর আমানতকারীদের শেয়ার হিসেবে আসবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ৪০ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, পাঁচ ব্যাংক একীভূত করে গঠিত এই নতুন প্রতিষ্ঠান দেশজুড়ে ইসলামী ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা কাটাতে বড় ভূমিকা রাখবে। আগামী সপ্তাহ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত ফেরত দেওয়া শুরু হবে, এবং উচ্চ অঙ্কের আমানত ফেরতের জন্য রোডম্যাপ প্রস্তুত করা হচ্ছে।




Comments