ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে সময় বেধে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে মাদুরো তা প্রত্যাখ্যান করে নিজের ও ঘনিষ্ঠ মিত্রদের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন। মাদুরো স্পষ্ট করে বলেছেন, তার দেশ দাসত্বের শান্তি মানবে না।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী কারাকাসে বিশাল সমাবেশে মাদুরো বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, কিন্তু তা হতে হবে সার্বভৌমত্ব, সমতা এবং স্বাধীনতার ভিত্তিতে। আমরা কোনো উপনিবেশকৃতির শর্তে শান্তি চাই না।’
এরআগে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক এক ফোনালাপে মাদুরোকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আলটিমেটাম দেন ট্রাম্প। পরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও ফোনালাপের কথা স্বীকার করেন, ‘আমাদের ফোনালাপ হয়েছে। আমি বলব না এটি ভালো হয়েছে নাকি খারাপ হয়েছে, এটি শুধুই একটি ফোনকল ছিল।’
আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার মাদুরোকে একটি ‘স্পষ্ট বার্তা’ দিয়েছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প মাদুরোকে বলেছিলেন, ‘আপনি নিজেকে ও আপনার মিত্রদের রক্ষা করতে পারেন, কিন্তু একটাই শর্ত-আপনাকে এখনই দেশ ছাড়তে হবে।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাকি মাদুরোকে প্রস্তাব দেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করলে মাদুরো, তার স্ত্রী ও পুত্রের পালানোর জন্য নিরাপদ পথের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার উপর চাপ আরও বাড়িয়েছেন। কয়েক মাস ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবিয়ান সাগর ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদকবাহী জাহাজকে লক্ষ্য করে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। কয়েকটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ভেনেজুয়েলার কাছে অবস্থান করছে। এরইমধ্যে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
ওয়াশিংটন দাবি করছে, এই পদক্ষেপগুলি অঞ্চলে মাদক পাচার রোধের জন্য নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কারাকাস দাবি করছে, এটি প্রকৃতপক্ষে একটি ‘শাসন পরিবর্তনের প্রচেষ্টা।’




Comments