ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। যেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে ভারতীয় ব্যাটাররা। বাংলাদেশকে ২৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা। যা টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
প্রথম স্থানে রয়েছে নেপালের ৩১৩ রানের ইনিংসটি। ২০২৩ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিল নেপালের ব্যাটাররা। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬০ রানের বড় পুঁজি পায় ভারত। এবার সেই ইনিংস কেউ ছাড়িয়ে গেছে আকাশী-নীলরা।
শনিবার (১২ অক্টোবর) আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ৪ বলে ৪ রান করে তানজিম সাকিবের প্রথম শিকার হন অভিষেক শর্মা। কিন্তু সূর্যকুমারকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ওপেনার সাঞ্জু স্যামসন। ২২ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার।
সেই সঙ্গে বলে বলে বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকেন তিনি। ১০তম ওভারে রিশাদ হোসেন বলে আসলে ৫ ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান স্যামসন। অপর প্রান্তে ব্যাট চালিয়ে ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন ভারতীয় অধিনায়ক।
আর ৪১ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন স্যামসন। ১৪তম ওভারে মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন শান্ত। ওভারের তৃতীয় বলে স্যামসনকে ক্যাচ আউট করেন এই কাটার মাস্টার। ৪৭ বলে ১১১ রান করেন স্যামসন।
পরের ওভারে সূর্যকুমারকে সাজঘরে ফেরান বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ। ৩৫ বলে ৭৫ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে এই ব্যাটার আউট হলেও ততক্ষণে ২০০ রানের কোটা পার করে ফেলেছে ভারত। এরপর ১৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন রিয়ান পরাগ।
শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৪৭ রান করে হার্দিক পান্ডিয়া এবং শূন্য রানে নিতিশ কুমার আউট হলে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রানের বিশাল পুঁজি পায় ভারত।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন তানজিম সাকিব। এ ছাড়াও তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটি করে উইকেট নেন।
মানবকণ্ঠ/এসআরএস
Comments