Image description

বিপিএলের এবারের আসরে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে খুলনা টাইগার্স। নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিটাগং কিংসকে ৩৭ রানে হারিয়েছে খুলনা। দলের বেহাল সময়ে ৭৮ রানের বড় ইনিংস করেও চিটাগংকে জেতাতে পারেননি শামীম পাটোয়ারী।

মঙ্গলবার আগে ব্যাট করতে নেমে চিটাগং পাহাড় সমান ২০৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল খুলনা। জবাব দিতে নেমে ৭ বল হাতে থাকতেই ১৬৬ রানে অলআউট হয় চিটাগং। এতে ৩৭ রানের জয়ে টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করেছে খুলনা।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ৪ বলে ১৮ রান তুলে নিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন নীম ইসলাম ও পারভেজ ইমন। ওশানে থমাস ১ বলে খরচ করে ১৫ রান। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেনি দুজনের কেউই। ৯ বলে ১২ রান করে আউট হন নাঈম। ৮ বলে ১৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন পারভেজ ইমন।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মোহাম্মদ মিথুনও। ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন চিটাগং অধিনায়ক। এরপর উসমান খান (১৮), হায়দার আলী (০), টম কর্নেল ডাক আউট হলে দলীয় ৫৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে চিটাগং।

হায়দারের আউটের পর মাঠে আসতে দেরি হওয়ায় টাইম আউট হন কর্নেল। তবে মিরাজ তাকে ব্যাটিং ফেরায়। কিন্তু প্রথম বলেই ক্যাচ আউট হন তিনি। এরপর মোহাম্মদ ওয়াসিম ৮ রানে এবং শরিফুল ইসলাম ১ রান করে উইকেট মিছিলে যোগ দেন। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াইয়ের চেষ্টা করেন শামীম পাটোয়ারি।

তার ব্যাটে ভর করে ১৩ ওভারে ১০০ রানের কোটা পার করে চিটাগং। সেই সঙ্গে ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন শামীম। শেষ ১২ বলে চিটাগংয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫২ রান। কিন্তু ১৯তম ওভারে প্রথম বলে শামীম আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চিটাগং। ৩৮ বলে ৭৮ রান করেন তিনি। এরপর ৪ বলে ১৪ রান করে খালেদ আউট হলে ৭ বল হাতে থাকতে ১৬৬ রানে অলআউট হয় চিটাগং। এতে ৩৭ রানের জয় পায় খুলনা।

খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন আবু হায়দার রনি। এ ছাড়াও মোহাম্মদ নাওয়াজ দুটি, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ এবং ওশানে থমাস এক করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনাকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন নাঈম ইসলাম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান করা এই ব্যাটার।

১৭ বলে ২৬ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন তিনি। তিনে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার বোসিসটোকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন মেহেদী মিরাজ। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১০ ওভারে ৭৯ রান তুলতে পারে খুলনা। তবে পিচে থিতু হতে পারেননি মিরাজ।

১৮ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ইব্রাহিম জাদরান (৬) ও আফিফ হোসেন ৮ রানে আউট হলে ছন্দ হারায় খুলনা। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন ওপেনার বোসিসটো। ষষ্ঠ উইকেটে ব্যাট চালাতে থাকেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

২২ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। মারকুটে ব্যাটিংয়ে ১৮ বলে ফিফটি তুলে নেন অঙ্কন। শেষ পর্যন্ত অঙ্কনের ২২ বলের ৫৯ রান এবং বোসিসটোর ৫০ বলের অপরাজিত ৭৫ রানে ভর করে ২০৩ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল খুলনা।

মানবকণ্ঠ/আরআই