Image description

রিশাদ হোসেন ও জাহানদাদের বোলিং তোপে ১২৫ রানে অলআউট হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে তামিম ইকবাল ফিরলেও কাইল মায়ার্স ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে ১০.৩ ওভারে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। 

বিপিএলের ঢাকা পর্বের চেয়ে সিলেট পর্বে শিশিরের প্রভাব অনেকটাই বেশি। ওই শিশিরের সুবিধা নিতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। 

সিলেটের ওপেনার রনি তালুকদার শূন্য করে ফিরলেও অন্য ওপেনার রাকিম কর্ণওয়াল ১২ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলেন। জাকির হাসান ২৬ বলে ২৫ রান যোগ করেন। চারে নেমে জর্জ মানসে ১৩ বলে খেলেন তিন ছক্কা ও এক চারে ২৮ রানের ইনিংস।

পরের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। ৭৬ রানে ৩ উইকেট থেকে ৮৯ রানে ৮ উইকেট হয়ে যায়। শেষ দিকে অধিনায়ক আরিফুল হক ২৯ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ৩৬ রানের ইনিংস খেললে ১৮.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে একশ’ ছাড়ানো পুঁজি পায় সিলেট। 

জবাবে নেমে রাকিম কর্নওয়ালের প্রথম বলেই আউট হন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পরেই নাজমুল শান্ত ৪ রানে ফিরলে ৬ রানে ২ উইকেট হারায় বরিশাল। সেখান থেকে ১১৬ রানের জুটি গড়েন কাইল মায়ার্স ও তাওহীদ হৃদয়। 

আগের তিন ম্যাচে রান না পাওয়া হৃদয় এদিন ফিরে যান ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলে। তার ব্যাট থেকে আটটি চার ও দুটি ছক্কা আসে। মায়ার্স ৩১ বলে ৫৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। পাঁচটি চারের সঙ্গে চারটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।     

বরিশালের হয়ে ঢাকা পর্বে ম্যাচ খেলার সুযোগ না পাওয়া লেগ স্পিনার রিশাদ এদিন ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার জাহানদাদ খান ৩ ওভারে ১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন। পাকিস্তানের পেস অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ নেন ২ উইকেট।