এবারের বিপিএলকে স্মরণীয় করে রাখার দায়িত্ব নিজেরাই নিয়ে নিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। একবার স্থানীয় ক্রিকেটারদের বেতন বকেয়া থাকায় অনুশীলন বয়কটের ঘটনা ঘটেছে। পরে একই ইস্যুতে বিদেশি ক্রিকেটারদের ম্যাচ বয়কট, ম্যাচের দিন হোটেল বদল, স্থানীয় ক্রিকেটারদের দেওয়া চেক বাউন্স- ঘটনার যেন শেষ নেই। এর মধ্যেই তামিম ইকবাল মনে করিয়ে দিলেন রাজশাহীরই আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলে পুরো টাকা পাননি।
শুধু বেতন বকেয়া রাখেনি দুর্বার রাজশাহী, খেলোয়াড়দের দৈনিক ভাতাও না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এমনকি গতকাল, ঢাকায় বাসা আছে এমন ক্রিকেটারদের হোটেল ছেড়ে নিজ নিজ বাসায় যাওয়ার অনুরোধ করার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে রাজশাহীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ম্যাচ না থাকায় ঢাকায় থাকা ক্রিকেটাররাই ছুটি চেয়েছেন।
এ নিয়ে গতকাল ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কারণ, বিপিএলের বকেয়া বেতনের ভুক্তভোগী তামিম নিজেও। বিপিএলের প্রথম দুই মৌসুমে এ নিয়ে অনেক ভুগতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। অনেক মালিকই টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পরও বেতন দেয়নি। এভাবে বকেয়া বেতন রেখে দেওয়া এবং ম্যাচ পাতানোর নানা অভিযোগে ২০১৩ সালের পর এক মৌসুম বিপিএল বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
২০১৩ বিপিএলের তামিমকে নিলামে ১ লাখ ৬৫ হাজার ইউএস ডলার দিয়ে কিনেছিল দুরন্ত রাজশাহী। কিন্তু বেতন দেওয়ার বেলায় প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে তারা। পরে বিসিবি নিজ দায়িত্বে নিজেদের তহবিল থেকে বকেয়া বেতন পরিশোধ করেছিল।
কিন্তু ভুক্তভোগী ক্রিকেটাররা পুরো অর্থ পাননি। ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্বাচনের সময় সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তামিম বলেন, ‘আমিও দেখেছি ২০১২-র ইস্যুটা বারবার আনা হচ্ছে। এটা আসলে ২০১৩ সালে। বোর্ডে যারা এসেছিলেন, আমাকে একটা পেমেন্ট দিয়েছিলেন। ওই অ্যামাউন্ট ছিল না, তার চেয়ে কম ছিল। তবে সমাধান হয়ে গিয়েছিল।’
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments