শেষ ওভারের জয়ের জন্য চিটাগাং কিংসের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। মুশফিক হাসানের করা ওভারের প্রথম বলে চার মেরে কিংস ভক্তদের স্বপ্ন দেখান আরাফাত সানি। তৃতীয় বলে আলিস আল ইসলাম রিয়ার্ড হয়ে ওঠে গেলে উইকেটে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান শরিফুল। তবে পরের বলেই আউট হয়ে যান তিনি। ফলে আবারো মাঠে নামেন আলিস। তখন সমীকরণ দাঁড়ায় এক বলে চার রানে। শেষ বলে ডিপ এক্সট্রা কভার দিয়ে চার মেরে সেই সমীকরণ মিলিয়েছেন আলিস।
মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে খুলনা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ বলে ৬৩ রান করেছেন হেটমায়ার। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে চিটাগাং।
১৬৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে পারভেজ হোসেন ইমনকে হারায় চিটাগাং। ৪ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। একই পথে হেটেছেন গ্রাহাম ক্লার্কও। তাতে ৩৫ রানেই ২ উইকেট হারায় কিংসরা।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় চিটাগাং। খাজা নাফি ও হোসেন তালাত মিলে যোগ করেন ৭০ রান। তালাত করেছেন ৪০ রান। আর নাফির ব্যাট থেকে এসেছে ৪৬ বলে ৫৭ রান।
১০৫ রানে ৩ উইকেট থেকে ১৩০ রানে যেতে আরো ৪ উইকেট হারায় চিটাগাং। শামিম হোসেন-মোহাম্মদ মিঠুনদের ব্যর্থতায় তখন অনেকটা ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। তবে শেষদিকে চমক দেখিয়েছেন সানি ও আলিস। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে দল। আলিস ৭ বলে করেছেন অপরাজিত ১৭ রান। আর সানি ১৩ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ১৮ রানে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি খুলনা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। বিনুরা ফার্নান্দোর ভালো লেংথের বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ৬ বল খেলে ২ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক।
তিনে নেমে ব্যর্থ অ্যালেক্স রস। ৬ বল খেলেও রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। মোহাম্মদ নাঈম ভালো শুরুর আভাস দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৪ বাউন্ডারিতে ১৯ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। একই পথে হেটেছেন আফিফ হোসেনও।
৪২ রান তুলতেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে টাইগার্সরা। তখন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও শিমরন হেটমায়ার মিলে দলকে টেনে তুলেন। ৪১ রান করে অঙ্কন ফিরলে ভাঙে ৭৩ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। তবে তার বিদায়ের ছাপ পড়েনি রান রেটে। কারণ আরেক প্রান্তে তখন ঝড় তোলেন হেটমায়ার।
Comments