
পাকিস্তানে কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে সম্মান দেখিয়ে নতুন দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করল পাকিস্তান। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ বিজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের নামে স্টেডিয়ামের নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সামরিক-সমর্থিত সরকার। দেশটির প্রথম সারির গণমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২০২২ সালে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পরের বছর দুর্নীতি ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে হন গ্রেপ্তার তিনি। এরপর থেকে কারাবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তো একটি জমি সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই ইমরানের নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান সরকার।
ডনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, খাইবার পাখতুনখাওয়া সরকার প্রদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু, আরবাব নিয়াজ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে ইমরান খান ক্রিকেট স্টেডিয়াম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার গান্ডাপুর ক্রীড়া বিভাগের একটি সারসংক্ষেপে স্বাক্ষর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন খান, যেখানে স্টেডিয়ামের নতুন নামকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন এটি অনুমোদনের জন্য প্রাদেশিক মন্ত্রীসভার সামনে উপস্থাপন করা হবে।
প্রদেশের ক্রীড়া মন্ত্রী সৈয়দ ফখর জাহানের বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত রাজনীতির ঊর্ধ্বে, কারণ ইমরান খান দেশের ক্রীড়া ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নাম। আদর্শভাবে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের নামই ইমরান খানের নামে রাখা উচিত ছিল, তবে সেখানে শুধুমাত্র একটি এনক্লোজারের নামকরণ করা হয়েছে তার নামে।
ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) কর্মী-সমর্থকদের ওপর দমনপীড়ন চলছে নিয়মিতই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সামরিক-সমর্থিত সরকার এই দমনপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। কিন্তু তারপরও কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিসেবে তাকে সম্মান জানাতে কৃপণতা করছে না স্থানীয় সরকার।
১৯৮৬-৮৭ সালে পেশোয়ারের শাহি বাগ এলাকায় অবস্থিত স্টেডিয়ামটি তৎকালীন রাষ্ট্রপতির নির্দেশনায় পেশোয়ার মিউনিসিপাল করপোরেশন কর্তৃক পেশোয়ার ডেভেলপমেন্ট অথরিটির মাধ্যমে নির্মিত হয়। শুরুতে স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার এবং এটি স্থানীয় ক্রিকেট ম্যাচের জন্য একটি ছোট প্যাভিলিয়নসহ নির্মিত হয়।
পরবর্তীতে এটি মিউনিসিপাল করপোরেশন থেকে ক্রীড়া বোর্ডে স্থানান্তর করা হয় এবং ১৯৮৬-৮৭ সালে প্রাদেশিক সরকার এর উন্নয়ন করে। ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সময় স্টেডিয়ামের সুযোগ-সুবিধা আরও উন্নত করা হয়।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments