
এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয়ের সুযোগ থাকলে, তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের প্রথম সুপার ওভারের ম্যাচে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক রানে হারে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিরাজ বাহিনী। সেই হতাশা ভুলে আজ সিরিজ জয়ে চোখ রেখে মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
মিরপুর শের-ই বাংলায় দুপুর দেড়টায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও ওয়েন্ট ইন্ডিজ। আজকের এই ম্যাচ শুধু সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ নয়, এ ম্যাচের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি বাংলাদেশের খেলার সমীকরণের হিসাব-নিকাশ। আইসিসি সুপার লিগ পয়েন্ট টেবিলে ভালো অবস্থানে থাকতে হলে এই ম্যাচের জয় পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। যার কারণে এই সিরিজ নিয়ে সিরিয়াস টিম ম্যানেজমেন্ট। যে কোনো মূল্যে সিরিজ জিততে চান তারা।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভার নিয়ে ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছিলেন, 'এটা আমাদের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা ছিল। আমরা প্রথম বার সুপার ওভারে খেলেছি। ব্যাট করার জন্য উইকেটটা সহজ ছিল না। রিশাদ এই মুহূর্তে দারুণ ছন্দে আছে। যখন বাকি ব্যাটসম্যানরা সংগ্রাম করছিল, সে আত্মবিশ্বাস নিয়ে দারুণ ব্যাটিং করেছে।'
রিশাদ দারুণ ছন্দে থাকা সর্তে সুপার ওভারে তাকে কেন নামানো হয়নি, ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ের ব্যাখ্যা দিয়ে সৌম্য সরকার বলেন, 'রিশাদকে সুপার ওভারে না পাঠানো কোচ ও অধিনায়ক পরিকল্পনা করেছেন। এটা তাদের পরিকল্পনার একটা অংশ ছিল। তারা চিন্তা করেছে যে, মূল ব্যাটারদের পাঠাবে এই সময়ে। দেখুন মূলত এখানে বাঁহাতি স্পিনার বল করছিল। তাই বাঁহাতি ব্যাটার উইকেটে যাওয়ার চিন্তা করাই সবচেয়ে ভালো। তো এটাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাঁহাতি ব্যাটার গেলে দলের জন্য ভালো হবে। তাই এটি ভেবেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
তবে আজ সিরিজনির্ধারণী ম্যাচে যে কোনো মূল্যে জিততে চান মিরাজ বাহিনী। যদিও গতকাল কোনো অনুশীলন করেনি বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই দলে ছিল বিশ্রামে। এই সিরিজে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে মিরপুরের উইকেট নিয়ে। কালো মাটির উইকেট যেন ব্যাটারদের জন্য এক দুঃস্বপ্নের নাম। স্পিনারদের কাছে অসহায় আত্মসমার্পণ করে ব্যাটাররা। মঙ্গলবার দুই দলের মধ্যে একমাত্র পেসার ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজও এর ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা কম।
মঙ্গলবার রাতে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলেন উইন্ডিজ স্পিনার আকিল হোসেন মিরপুরের উইকেট নিয়ে বলেছিলেন, 'প্রথম ওয়ানডেতে আমি যখন টিভিতে খেলা দেখছিলাম। প্রথমেই পরীক্ষা করেছিলাম যে টিভিতে কোনো সমস্যা আছে কি না। কারণ পিচটি সম্পূর্ণ কালো দেখাচ্ছিল। আমি ভেবেছিলাম, আমার টিভিতে অবশ্যই কিছু একটা সমস্যা। আজ এসে উইকেট দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম।'
যদিও দুই দলের অতীতের পরিসংখ্যানে খুব একটা পার্থক্য নেই। এছাড়াও বতর্মান সময়টা খুবটা ভালো যাচ্ছে না সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৪৭টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। যেখানে উইন্ডিজদের ২৪ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ২১টি ম্যাচে। যার কারণে আজকের ম্যাচেও ফেবারিট থাকবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
Comments