
বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুরে নিযুক্ত হাইকমিশনার জনাব মোঃ শামীম আহসানের সঙ্গে শান্তর সৌজন্য সাক্ষাৎ
জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে ২০২৪ সালের ২২ মার্চ বিশ্বভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের উদ্যমী সাহসী সন্তান সাইফুল ইসলাম শান্ত। আজ ২২ মার্চ, ২০২৫ তাঁর এ কর্ম উদ্দীপনার এক বছর পূর্তি। দৈনিক মানবকণ্ঠের পক্ষ থেকে অভিনন্দন আপনাকে।
বিশ্বভ্রমণ নিয়ে এক বছরের বিচিত্র অভিজ্ঞতা সম্পর্কে দৈনিক মানবকণ্ঠে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এই তরুণ স্বপ্নচারী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মানবকণ্ঠের সহ সম্পাদক সনজিৎ সরকার উজ্জ্বল।
আশাকরি, আপনার ভ্রমণের সংগ্রামমুখর দিনগুলোতে সুখ-দুঃখ পাশাপাশি আপনাকে সঙ্গ দিয়েছে।
মানবকণ্ঠ: আসলে পায়ে হেটে বিশ্বভ্রমণের চিন্তাটা কীভাবে মাথায় এলো?
শান্ত: স্কুল লাইফ থেকেই হেটে বেড়ানোর আগ্রহ ছিল। স্কুলের বন্ধুদের সাথে নিয়ে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে হেটে ঘুরে বেড়াতাম। কিন্তু পায়ে হেটে বিশ্বভ্রমণের স্বপ্নটা একদিনেই আসেনি। ধীরে ধীরে হাইকিং, ম্যারাথন, অনুশীলন, আর দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে। বিশেষ করে, প্রকৃতির সৌন্দর্য আর মানুষের জীবন কাছ থেকে দেখার ইচ্ছা আমাকে এই পথে টেনে এনেছে। তার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি আর স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল মূল অনুপ্রেরণা।
মানবকণ্ঠ: শুরুটা করলেন কীভাবে?
শান্ত: শুরুটা যদি বলতে হয় তাহলে শুরুটা হয়েছে অনার্সে ভর্তি হবার পর। আমি যাত্রাবাড়ী দনিয়া কলেজ থেকে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে যার কারণে ব্যবহারিক কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকা জরিপের জন্য যেতাম তখন থেকেই হেঁটে ঘুরার প্রতি নতুন করে আগ্রহ জন্মে। তারপর ২০১৬-১৭ এর দিকে ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহণ করি আর তখন জীয়া ভাইয়া টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া হেটেছেন সেটা দেখার পর আমার মনে হয়েছে যে আমিও হয়তো পারবো কিন্তু তখনো আসলে এত বড় চ্যালেঞ্জ নেয়ার সাহস হয়নি।
পর্যায় ক্রমে অনেক অনুশীলন করেছি, বেশ অনেক গুলো ম্যারাথন দৌড়ের ইভেন্টে অংশগ্রহণ করি। তারপর ২০১৮ সালে অফিসিয়ালি হাইকিং শুরু করি।
আমার হাইকিং প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিলো “100km hill road walking challenge 2018” বান্দরবান জিরো পয়েন্ট থেকে আলিকদম পর্যন্ত ৪৮ ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার। সেটা খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছিলাম তখন আত্নবিশ্বাস আরো বেড়ে গিয়েছিলো।
এর মধ্যে পড়াশোনা জব সব মিলিয়ে ব্যস্ততায় মধ্যেও প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। যখন লকডাউনে জীবন থমকে ছিলো ঠিক তখন ২০২০ সালে আগস্ট মাসে আমি দেবিদ্বার নিজ গ্রাম থেকে হাঁটা শুরু করি। তারপর ৪০ দিনে ১৬ টি জেলার ১০০০ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করি। তখন মনে হয়েছে যে মানুষের খুব কাছ থেকে জানতে হলে হাটার বিকল্প নেই।
তারপর ২০২২ সালে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ৭৫ দিনে ৩০০০ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করি। বাংলাদেশের ৬৪ জেলা হেটে ভ্রমণের পর ভারতের পশ্চিম বাংলা হেটে ভ্রমণ করি ৬৪ দিনে ১৫০০ কিলোমিটার পথ। তারপর পরিকল্পনা শুরু হয় বিশ্ব ভ্রমণের শুধু হাঁটা নয়, পরিকল্পনা, প্রস্তুতি, অনুমতি, আর পৃষ্ঠপোষকতার ব্যবস্থা করা সব মিলিয়ে দীর্ঘ এক প্রক্রিয়া ছিল শুরুটা। খুব সহজ ছিল না।
মানবকণ্ঠ: এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ার প্রক্রিয়া ও পরিক্রমাটা কেমন ছিল?
শান্ত: এটা কখনো সহজ ছিল না। কারণ মূল বাধা হচ্ছে স্পন্সর না পাওয়া এবং এবং ভিসা জটিলতা। বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে ট্রাভেল করা খুবই কঠিন। আমার ভ্রমণ টাকে মহাদেশ ভিত্তিক ভাগ করেছি, প্রথমে এশিয়া মহাদেশ তারপর অন্যান্য মহাদেশ। যাত্রা শুরু করি ঢাকা থেকে তারপর ভারতের বিহার পর্যন্ত হেটে যাই।
প্রথমেই বলে রাখছি যে যেহেতু ভিসা সাধারণত এক মাসের পাওয়া যায় সেই হিসেবে এক মাসের মধ্যে যতটুকু পথ কাভার করা সম্ভব হয় ততটাই পথ হেটে ভ্রমণ করি তারপর পরবর্তী গন্তব্যে চলে যাই।
ঢাকা থেকে বিহার পর্যন্ত গিয়ে ভিসা প্রায় শেষ হয়ে আসে তখন ইন্ডিয়া থেকে উজবেকিস্তানে ফ্লাইটে চলে যাই। যখন হেটে যাবার কোন সুযোগ থাকেনা বা সিরিয়ালে কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায়না তখন অন্য দেশের ভিতরে প্রবেশের জন্য সেই ট্রান্সপোর্ট এর সাপোর্ট নিতে হয় শুধু দেশে প্রবেশের জন্য প্রবেশ করার পর সম্পূর্ণ হেটে ভ্রমণ।
যাই হোক, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ সিটি থেকে হেটে তাজিকিস্তানের দোসানবে সিটি পর্যন্ত হেটে যাই তারপর সেখান থেকে আশেপাশের দেশের ভিসা না পাওয়ায় আমি ফ্লাইটে চলে আসি নেপাল। নেপাল ভ্রমণ শেষে আবার ইন্ডিয়া এসে ইন্ডিয়া থেকে ফ্লাইটে চলে আসি থাইল্যান্ড, থাইল্যান্ড থেকে কম্বোডিয়া, হয়ে লাওস হেটে আসি। কিন্তু পরবর্তীতে ভিয়েতনামের ভিসা এবং থাইল্যান্ডের ভিসা না পাওয়ায় লাওস থেকে মালেশিয়া ফ্লাইটে আসি।বর্তমানে মালেশিয়া ভ্রমণ চলমান।
পরবর্তী গন্তব্য: সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনেই, জাপান, সাউথ কোরিয়া, চীন, মঙ্গলিয়া ইত্যাদি পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে তবে অবস্থা অনুযায়ী বা ভিসা জটিলতায় পরিকল্পনা পরিবর্তন হতে পারে। এখন পর্যন্ত ৯ টি দেশের অংশে মোট পথে হেটেছি ৩৪০০ কিলোমিটারের বেশি পথ।
আমার সমস্ত হাটার আপডেট স্ট্রাভা এ্যাপের মাধ্যমে রেকর্ড করা হয়। আমার এবারের বিশ্ব ভ্রমণের মূল মটো বা স্লোগান: “Save trees, minimize global warming”
মানবকণ্ঠ: কোন দেশ কেমন লেগেছে?
শান্ত: আসলে প্রত্যেকটা দেশই তার শিক্ষা সংস্কৃতি ইতিহাসে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
ভারত: ভারতের পশ্চিম বাংলায় আমি প্রচুর আন্তরিকতা পেয়েছি, বাংলাদেশের পতাকা দেখেই অনেকেই দৌড়ে কাছে এসেছেন তাদের পূর্ব পুরুষ বাংলাদেশী ছিলেন বলে আমাকে দেখে খুব আপ্যায়ন করেন এবং আবেগাপ্লুত হয়ে যেতেন। এই বিষয় গুলো আমার খুব ভালো লেগেছে।
যেহেতু আমি আগেও ভারত ভ্রমণ করেছিলাম তাই এবার প্রচুর পরিচিত মানুষ ছিলো যার ফলে ভ্রমণ আর ও সহজ ছিলো।
উজবেকিস্তান: সেন্ট্রাল এশিয়া শুনতেই অন্যরকম লাগে, ইতিহাস ঐতিহ্য ভরপুর। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সেন্ট্রাল এশিয়া একদম আলাদা খুবই ভালো লেগেছে উজবেকিস্তানে মানুষ খুব আন্তরিক।
প্রথম ঘোড়ার মাংস উজবেকিস্তানে খেয়েছি। এত সুন্দর পরিষ্কার পরিছন্ন শহর, সবাই খুব আন্তরিক।
তাজিকিস্তান: এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ, কিন্তু তার চেয়েও বড় ছিল মানুষের আতিথেয়তা। তাজিকিস্তানের খুজান্দ থেকে দোসানবে হাইওয়ে রুট এত সুন্দর এত সুন্দর আসলে বর্ণার বাহিরে। জনমানবহীন পথ, অনেক দূরে দূরে ছোট গ্রাম পরেছে পথে প্রচুর ফল, খাবার দিয়েছে আমাকে তাজিকিস্তানের পথে। তাজিকিস্তানের এই পথের সৌন্দর্য আমি এখনো ভুলতে পারিনি।
তাজিকিস্তানে এই পথে একবার ঝড়ের কবলে পরেছিলাম তখন খুব ভয় পেয়েছিলাম কারণ পাহাড়ের পথ দিয়ে বাতাসের গতি এত ছিল যে দাড়িয়ে থাকতে পারছিলামনা বারবার নদীর দিকে বাতাসে নিয়ে যাচ্ছিলো অন্যদিকে পাহারের নিচে দাড়াতে পারছিলা সাহাড় ধ্বসের ভয়ে ওইদিন এই নির্জন একা পথে খুব ভয় পেয়েছিলাম।
নেপাল: অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের স্বর্গ! অন্যপূর্ণা বেইস ক্যাম্প ট্রেক আমার অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। কাঠমুন্ডু শহর থেকে হেঁটে অন্যপূর্ণা বেইস ক্যাম্প পর্যন্ত গিয়েছি তবে একদম কাঠমুন্ডু শহর থেকে হেটে অন্যপূর্ণা বেইস ক্যাম্পে এর আগে কেউ গিয়েছে কিনা আমার জানা নেই।। নেপালের মানুষ খুব আন্তরিক।
বৃষ্টির মৌসুম ছিল, মুনসুন চলছিল এত এত বৃষ্টি হয়েছে যে এক অন্যরকম নতুন নেপাল দেখেছি। চারদিকে সবুজে মুড়ানো, অসংখ্য ঝর্ণা, মেঘেদের খেলা পথ চলতে চলতে এক খন্ড মেঘ এসে গা ছুয়ে দেয়া সে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা।
থাইল্যান্ড: আমার দেখা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নিরাপদ এবং ট্যুরিস্ট ফ্রেন্ডলি দেশ থাইল্যান্ডকে বলবো।।সেখানিকার স্থানীয় মানুষ খুবই ট্যুরিস্ট ফ্রেন্ডলি খুব আন্তরিক। আর বিশেষ করে পুলিশ প্রাশাসন। আমি থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করা অবস্থায় সবচেয়ে বেশি রাত পুলিশ স্টেশনেই থেকেছি তারা খুব চমৎকার।
কম্বোডিয়া: কম্বোডিয়ার পয়পেট এলাকায় এসে কিছুটা আফ্রিকার ফিল পেয়েছিলাম কারণ বাজারে কুকুর সাপ ব্যাংঙ সব প্রাণীর মাংস দেখে। তবে সাধারণ মানুষ খুব ভালো। কম্বোডিয়াতে বেশ সন্মান পেয়েছিলাম একটা বিশেষ কারণে, তাদের যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘের থেকে বাংলাদেশের আর্মি সেখানে গিয়েছিলেন তাদের হেল্প করেছিলেন যা অনেকেই ভুলেনি। বাংলাদেশের পতাকা দেখে দৌড়ে আমার কাছে আসতেন।
তবে কম্বোডিয়ার সিয়েম রিয়েপ অবস্থিত অঙ্গকর ওয়াটের ইতিহাস আর খমের সংস্কৃতি মুগ্ধ করেছে। বিশাল এলাকা জুড়ে ইতিহাস।
তবে সাধারণ মানুষ গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। তবে কম্বোডিয়াতে মুসলমানের সংখ্যা কম হলেও তারা খুব আন্তরিক। কম্বোডিয়াতে বেশি মসজিদে রাতে ছিলাম। তবে কম্বোডিয়ায় বসবারত বাংলাদেশী প্রবাসী ভাইদের আন্তরিকতা কখনো ভুলবোনা। তারা আমাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন সবাই একত্রিত হয়ে প্রোগ্রাম করেছেন যা আমার ভ্রমণকে অনেক উৎসাহ যুগিয়েছে।
লাওস: শান্ত, নিরিবিলি, কম জনসংখ্যার দেশ। ট্যুরিস্টি আছে বেশ তবে সেখানে আমি যেখানে আমি প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে পেরেছি। পথে অনেক দূর পর পর গ্রাম দেখা যেত পাহাড়ি পথ। রাতে বৌদ্ধ মন্দির গুলোতে থেকেছি।
মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়াতে ভ্রমণ চলমনান, ভ্রমণের প্রায় এক বছর একটু বিশ্রাম প্রয়োজন আর রমজান মাস চলছে তাই রমজান মাসকে ঠিকঠাক পালনের জন্য মালেশিয়াতে এই মাস বিশ্রাম নিচ্ছি।
তবে মালয়েশিয়া খুব ভালো লাগছে আশাকরি সামনের পথ গুলিও ভালো যাবে। চারদিকে পাহাড়, পাম গাছের বিশাল বাগান জঙ্গল, বিভিন্ন পশু প্রানীর ভয় সব মিলিয়ে এক রোমাঞ্চকর জার্নি হতে যাচ্ছে।।
মানবকণ্ঠ: বিশেষ কোনো আনন্দময় ঘটনার কথা জানতে চাই-
শান্ত: অসংখ্য সুন্দর মুহূর্ত আছে, তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চেয়ে আমার কাছে মানুষের আন্তরিকতার সৌন্দর্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একা হাঁটতে হাঁটতে যখন কোন এক গ্রামের মানুষ আমার জন্য খাবার নিয়ে আসে , আমার সাথে এসে কথা বলে ভাষার সমস্যা হলেও ভাব প্রকাশে কমতি নেই অচেনা দেশ অচেনা একজন মানুষ যখন তার ঘরের দরজা আমার জন্য খুলে দেয়।
তখন এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল, "এটাই তো সেই জীবন, যা আমি খুঁজছিলাম!" পথে অসংখ্য ট্রাভেলারদের সাথে পরিচয় হয়েছে যাদেএ গল্প শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
মানবকণ্ঠ: বিশ্বভ্রমণের চ্যালেঞ্জগুলো যদি বলতেন-
শান্ত: বিশ্বভ্রমণের পথে একা একা ধৈর্য নিয়ে এই বিশাল পথ পারি দেয়া অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে স্পন্সর না পাওয়া তারপরতো রয়েছে সঠিকভাবে ভিসা না পাওয়া, আবার ল্যান্ড বর্ডার দিয়ে ঠিকঠাক প্রবেশ করতে না দেয়া, সীমান্তে জটিলতা।।
সবমিলিয়ে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এগিয়ে চলা।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে হয়তো পথ কিছুটা সহজ হতো, আমি আর্থিক কোন সহযোগী চাচ্ছিনা শুধু অফিসিয়াল ব্যাপার গুলোতে সহযোগিতা হলেই হতো।
মানবকণ্ঠ: এক বছর তো হয়ে গেল, পুরো পৃথিবী ঘুরতে কত দিন লাগতে পারে, আপনার প্ল্যানটি কী রকম?
শান্ত: আসলে জাতিসংঘের অনুমোদিত ১৯৩টি দেশ পায়ে হেঁটে ঘোরার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা করেছি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৯টা দেশ শেষ, সামনে আরও অনেক পথ বাকি। আগে থেকে স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছেনা তবে এই গতিতে চললে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ বছর লাগতে পারে বার তার থেকে বেশি। তবে সব কিছু নির্ভর করছে স্পন্সরশিপ, ভিসা পাওয়া, আর শরীর-মন ভালো থাকার ওপর।
মানবকণ্ঠ: সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ।
শান্ত: মানবকণ্ঠকেও ধন্যবাদ।
Comments