গুম প্রতিরোধ অধ্যাদেশ অনুমোদিত: সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, বিচার ১২০ দিনে
গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং এর বিচার কাজ ১২০ দিনের মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধকতা রেখে 'গুম প্রতিরোধ প্রতিকার অধ্যাদেশ'-এর অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
শফিকুল আলম জানান, গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লক্ষ্যে দীর্ঘ আলোচনা ও পর্যালোচনার পর অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এতে গুমকে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং 'চলমান অপরাধ' হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
প্রেস সেক্রেটারি আরও বলেন, গোপন আটক কেন্দ্র বা 'আয়নাঘর' নামে পরিচিত যেসব স্থাপনা ব্যবহৃত হতো, সেগুলোকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এমন কেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবহার করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (এনএইচআরসি) গুম সম্পর্কিত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গঠিত ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এছাড়া, ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ, আইনি সহায়তা এবং পরিচয় সুরক্ষার বিষয়েও বিশেষ বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
শফিকুল আলম দৃঢ়তার সাথে বলেন, এই আইনের মাধ্যমে দেশে আর কোনো সরকার গুমের রাজত্ব চালাতে পারবে না। মানবাধিকার সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেই অধ্যাদেশটি পাস করা হয়েছে।
এদিন বৈঠকে দেশে সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ও পরিবহন খাত আধুনিকায়ন করতে জাতীয় লজিস্টিক নীতির চূড়ান্ত অনুমোদনও দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। পাশাপাশি গুম প্রতিরোধ, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং তথ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে তহবিল ও তথ্যভাণ্ডার গঠনের বিধানও রাখা হয়েছে।




Comments