Image description

উপদেষ্টা পরিষদ ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা এবং গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ প্রতিকার অধ্যাদেশ’ অনুমোদন করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা: প্রেস সচিব জানান, ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকায় মোট ২৮টি ছুটি থাকবে। এর মধ্যে সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশের ছুটি উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। তবে, ৯টি ছুটি শুক্র ও শনিবার হওয়ায়, কার্যদিবসে মোট ১৯ দিন ছুটি থাকবে।

গুম প্রতিরোধ প্রতিকার অধ্যাদেশ: শফিকুল আলম বলেন, গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লক্ষ্যে দীর্ঘদিনের আলোচনা ও পর্যালোচনার পর অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এই অধ্যাদেশে গুমকে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং এটিকে ‘চলমান অপরাধ’ হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গোপন আটক কেন্দ্র বা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত যেসব স্থাপনা ব্যবহৃত হতো, সেগুলোকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এমন কেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবহার করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অধ্যাদেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (এনএইচআরসি) গুম সম্পর্কিত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে, গঠিত ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ, আইনি সহায়তা এবং পরিচয় সুরক্ষার বিষয়েও বিশেষ বিধান সংযোজন করা হয়েছে।

শফিকুল আলম দৃঢ়তার সাথে বলেন, এই আইনের মাধ্যমে দেশে আর কোনো সরকার গুমের রাজত্ব চালাতে পারবে না। মানবাধিকার সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেই এই অধ্যাদেশটি পাস করা হয়েছে।

এছাড়াও, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে দেশে সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ও পরিবহন খাত আধুনিকায়ন করতে জাতীয় লজিস্টিক নীতির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। গুম প্রতিরোধ, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং তথ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে তহবিল ও তথ্যভাণ্ডার গঠনের বিধানও এই অধ্যাদেশে রাখা হয়েছে।