দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীকে মৎস্য হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে রুই জাতীয় মাছের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতকরণ ও গাঙ্গেয় ডলফিনের আবাসস্থল সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকার এই ঘোষণা করে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় এ তথ্য।
এতে বলা হয়, খাগড়াছড়ির রামগড় ও মানিকছড়ি উপজেলা, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, রাউজান, হাটহাজারী উপজেলা এবং পাঁচলাইশ থানা হয়ে প্রবাহিত হালদা নদীর দুই তীরবর্তী মোট ২৩ হাজার ৪২২ একর এলাকা এখন থেকে ‘হালদা নদী মৎস্য হেরিটেজ’ হিসেবে গণ্য হবে। হালদা নদী এবং নদী তীরবর্তী ৯৩ হাজার ৬১২টি দাগের ২৩ হাজার ৪২২ দশমিক ২৮০৫৯ একর জায়গা ‘হালদা নদী মৎস্য হেরিটেজ’ হিসেবে ঘোষণা করা হলো। এপ্রিল-জুন মাসে হালদা নদীর বিভিন্ন স্থানে রুইজাতীয় মাছের প্রজননের ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিষিক্ত ডিম পাওয়া যায়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, দেশি বা বিদেশি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনুমতি ছাড়া হালদায় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। নাজিরহাট ব্রিজ থেকে কর্ণফুলী মোহনা পর্যন্ত ভারী ইঞ্জিনচালিত নৌযান, বালুবাহী জাহাজ বা ড্রেজার চলাচল নিষিদ্ধ। হালদা ও তার শাখা নদী থেকে বালু উত্তোলন বা বালুমহাল ইজারা দেওয়া যাবে না। নদীর অববাহিকায় তামাক চাষ নিষিদ্ধ থাকবে। কৃষিজমিতে ক্ষতিকর কীটনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহার করা যাবে না। নদীর পাড়সংলগ্ন এলাকায় নতুন কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না।
উল্লেখ্য, উন্নততর পরিবেশগত এবং প্রতিবেশগত ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এবং নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে এলাকার সীমা-পরিসীমা নির্ধারণসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সময়ে সময়ে বিধি-নিষেধ আরোপসহ প্রজ্ঞাপনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারবে বলেও জানানো হয় এতে।




Comments