Image description

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন যে সরকারি "গোপনীয়তার" কারণে অর্থনীতির অনেক বিষয় প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না, যদিও অনেকে বলছেন কিছুই হচ্ছে না। তিনি জানান, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সরকার দেশের অর্থনীতি ও আর্থিক খাতকে "ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে রক্ষা করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে" কাজ করছে।

জাতীয় পর্যায়ে ডিআরইউর বর্ষসেরা বিশেষ প্রতিবেদনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রোববার তিনি এই মন্তব্য করেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "অনেকে টকশোতে বলছেন, কিছুই হচ্ছে না। অনেক কিছুই বলা যাচ্ছে না সরকারি সিক্রেসির (গোপনীয়তা) কারণে।"

তিনি পূর্ববর্তী সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, "আগের সরকারের উন্নয়নের বিভিন্ন 'ন্যারেটিভ' আপনারা শুনেছেন। 'গ্রোথ' (প্রবৃদ্ধি) যেটা হয়েছে, তা ছিল বড় বড় মেগা প্রকল্প। প্রকল্পগুলো আসলে 'মনুমেন্ট' হয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে টানেল করা হলো, তাতে বেশি গাড়ি চলে না। মেগা প্রকল্পের এলাকায় একশ-দুইশ কোটি টাকা দিয়ে রেস্ট হাউস করা হয়েছে। এসব প্রকল্প 'ন্যারেটিভে' অনেক এসেছে, কিন্তু এসব অর্থনৈতিক প্রকল্প মানুষের কতটা কাজে লাগছে?"

সালেহউদ্দিন আহমেদ আশা প্রকাশ করেন যে ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে, তা আগামী নির্বাচিত সরকারও অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, "এখন তো নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে সরকার। আগামী তিনটা মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তী সরকার করবে, এমন অনেক ইস্যু আছে। আমরা মোটামুটি অর্থনীতিকে ধ্বংসের কাছ থেকে রক্ষা করে এনেছি। এখন আগামী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে এটাকে সুসংহত করা।"

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, "অর্থনীতির কাঠামোটা যেন ভালো হয়, তারা হয়তো কিছু সংযোজন করবে, কিছু বাদ দেবে। আমরা শুরুটা করেছি, এখন উত্তরসূরি সরকার এটাকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে।"

'ডিআরইউ-নগদ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড, ২০২৫' অনুষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।