Image description

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করে জবাবদিহি নিশ্চিত করে টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ দ্রুত অনুমোদনের দাবি জানিয়েছেন ৯৪ বিশিষ্ট নাগরিক। তারা বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক নজরদারি কাঠামো পুনর্বহালের চেষ্টা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি। এটি নাগরিক স্বাধীনতার জন্য গুরুতর হুমকি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিচার, সংস্কার নির্বাচনের অংশ হিসেবে আইন ও নীতিমালা সংস্কারের কাজ চলছে। নতুন অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও বিদ্যমান আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে অংশীজনের অংশগ্রহণ থাকলেও মতামত উপেক্ষা করা হচ্ছে।

এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরেই মানবাধিকার লঙ্ঘন, অবৈধ ও অনিয়ন্ত্রিত নজরদারি এবং গুমের সঙ্গে এনটিএমসির জড়িত থাকার বিবরণ এসেছে আদালত ও সরকারের গঠিত গুমসংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদনে। এ কারণে এনটিএমসি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করার প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, এনটিএমসি বিলুপ্তি নিয়ে সরকারের মধ্যে দুই মত দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্র এই নজরদারি রোধে ব্যাপক সংস্কার প্রবর্তনের পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে এসেছে। বরং নাগরিকদের ন্যূনতম অংশগ্রহণ ও মতামত ছাড়াই এনটিএমসির তিনটি নতুন নামের প্রস্তাবসহ একটি খসড়া আইন প্রস্তুত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ শেখ হাসিনার আমলে ফিরবে না। তাই ইন্টারনেট সংযোগ কোনো অবস্থাতেই বন্ধ, বিঘ্নিত বা সীমিত করা যাবে না। শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধ ও নিপীড়নের সহযোগী এনটিএমসি ভেঙে দিতে হবে। অধ্যাদেশের ধারায় যোগাযোগ মাধ্যমের নজরদারি করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীকে বিচারের মুখোমুখি করার ব্যবস্থা বহাল রাখতে হবে। 

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, লেখক সলিমুল্লাহ খান, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, কথাসাহিত্যিক মঈনুল আহসান সাবের, অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, গবেষক রাখাল রাহা, অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, প্রবাসী সাংবাদিক মাসকাওয়াথ আহসান প্রমুখ।