Image description

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় যখন ‘জুলাই সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক তখনই চমকে দেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’ নামে পরিচিত আন্দোলনকারীরা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে পুলিশের নিরাপত্তা-বেষ্টনী ভেঙে তারা সরাসরি মূল অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করেন এবং অতিথিদের জন্য নির্ধারিত আসনে বসে পড়েন।

বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে সরেজমিনে দেখা গেছে, অতিথিদের জন্য বরাদ্দ করা চেয়ারগুলোতে বসে রয়েছেন জুলাই যোদ্ধারা। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলছেন। অনুরোধ করছেন অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে দেওয়ার জন্য। 

জুলাই যোদ্ধারা জানিয়েছেন, জুলাই সনদে জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে হবে, জুলাইয়ে শহীদ ও আহতদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, সুরক্ষা আইন ও তাঁদের দায়মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। 

জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে দাবি গুলো হলো;

১। জুলাই সনদে আন্দোলনকারীদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি

২। জুলাইয়ে নিহত ও আহতদের মৌলিক অধিকার ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা

৩। ‘সুরক্ষা আইন’ পাস এবং আন্দোলনকারীদের জন্য দায়মুক্তি ঘোষণা

তাদের মতে, এসব দাবি সংবিধানসম্মত ও ন্যায্য। শুধুমাত্র রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এগুলো পাশ কাটিয়ে যাওয়া যাবে না।

আচরণে সরল ও শান্তিপূর্ণ হলেও সংসদ ভবন এলাকার নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশ আপাতত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকছে। তবে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করে পুরো অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে ফেলা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাওয়া হচ্ছে। সহিংসতা এড়ানোই এখন মূল লক্ষ্য।’

জুলাই যোদ্ধাদের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘আমরা এই আন্দোলনে জীবন দিয়েছি, রক্ত দিয়েছি। এখন আমাদের দাবি না মানলে এই সনদ শুধু কাগজেই থাকবে, বাস্তবতায় নয়।’