নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে বিএনপির। এই মাসের মধ্যেই বিএনপি ২০০ আসনে একক প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কম-বেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো আমরা গ্রিন সিগন্যাল দেব। সেই প্রক্রিয়ায় আছি, আমরা শেষের দিকে। যাতে নির্বাচন মাঠে প্রার্থী হিসেবে তারা কাজ করতে পারে।’
নির্বাচনে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী যদি দলের বিপক্ষে গিয়ে দাঁড়ান, তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে বিএনপি—এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,‘ আশা করি কেউ দাঁড়াবে না। আমরা সমঝোতার ভিত্তিতে, আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সিঙ্গেল (একক) প্রার্থী নির্ধারণ করতে পারব। তারপরও যদি কেউ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, তো শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য যে ব্যবস্থা আমরা নিয়ে থাকি, সাংগঠনিকভাবে তা-ই হবে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, বিএনপির মনোনয়নে সাবেক ছাত্রনেতা, সাবেক যুবনেতা, বর্তমান ছাত্রনেতা, বর্তমান যুবনেতা, একটা অংশ থাকবে তারুণ্যের প্রতিনিধিত্বকারী অংশ হিসেবে। সেটা তাঁরা আগেও করেছেন। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় যাঁর গ্রহণযোগ্যতা বেশি এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক যাঁর বেশি, নির্ধারিত এলাকায় যাঁর জনসমর্থন বেশি, পরিচিতি বেশি এবং মেধা জ্ঞানগরিমা আছে, সেসব বিবেচনায় নিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করবে বিএনপি।
তিনি বলেন, 'জোটের প্রার্থী হলেও ভোটে নিজ দলের প্রতীকে লড়তে হবে' এমন আরপিও সংশোধনের সাথে বিএনপি একমত নয়। এতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ হতে নিরুৎসাহিত হবে। এই আরপিও একতরফাভাবে পাশ করা হয়েছে। এতে আপত্তি জানিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হবে। এ সময় সুষ্ঠু আরপিও পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানান তিনি।
জোট গঠনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বড় জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বিএনপি। এনসিপির সাথে রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে। তবে জোট হবে কি না সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।
এ সময় আগামী নভেম্বরের মধ্যেই দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলেও জানান তিনি।




Comments