Image description

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ওসমান হাদীর ওপর বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, সে আমার সন্তান সমতূল্য। হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এ আঘাত গণতন্ত্রের উপর আঘাত। যারা এই আঘাত করেছে তাদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে। 

শনিবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভপূর্ব এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মির্জা আব্বাস বলেন, দুপুর দুইটায় হাদী গুলিবিদ্ধ হলেন, তার আধাঘন্টা পরই একটি দল উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ফেসবুকে পোষ্ট দেওয়া শুরু করে। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পেলাম সবই পরিকল্পিত। আমি ঢাকার ছেলে। দীর্ঘ ৫০ বছর ঢাকায় রাজনীতি করি। আমি শান্ত ছিলাম। আমার নির্দেশনা পেলে তোমাদের তুলোধুনো করতো। হাসপাতালে যারা এগুলো করেছে তারা হাদীর সমর্থক নয়, তারা অন্য একটি দলের। আমরা শান্ত না থাকলে হাদীর চিকিৎসা ব্যাহত হতো। তারা চেয়েছিলো হাদীর চিকিৎসা যাকে ব্যাহত হয় এবং মারা যাক। 

তিনি বলেন, একটি দলের ষড়যন্ত্র আমরা ৭১, ৮৬সহ অনেক দেখেছি। এদের মূল শক্তিই ষড়যন্ত্র। এরা স্থির রাষ্ট্র সহ্য করতে পারে না। তাই রাষ্ট্রকে সবসময়ই অস্থিতিশীল রাখতে চায়।

তিনি বলেন, একটি লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছে, সে যেই হোক তার মৃত্যু কামনা করি না। হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এক-দেড়শ লোক ফেসবুকে দেশে মব সৃষ্টির জন্য উস্কানি দিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন। তারা সকলেই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের। ৭৭ সাল থেকে নির্বাচন করে আসছি। কারও সাথে মারামারি হয়নি। একসাথে প্রার্থীরা কোলাকুলি করেছি, খেয়েছি। মারামারি করে আওয়ামী লীগ। আর নির্বাচনসহ রাষ্ট্রকে অস্থির করে সেই বিতর্কিত রাজনৈতিক দল। আমরা চাই হাদীর ওপর হামলাকারী গ্রেফতার হোক এবং বিশেষ দলের মুখোশ উম্মেচিত হোক। 

তিনি বলেন, হাদী আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, প্রতিযোগী। সে রাজপথের সাহসী সৈনিক। তাকে আমি নির্বাচনী মাঠে আবারও সক্রিয় পাবো সেই প্রত্যাশা করি। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

এসময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, শেখ রবিউল আলম, হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবির পল প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর ফকিরাপুল মোড় ঘুরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।