সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে সিঙ্গাপুরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হলে অলৌকিক কিছু প্রয়োজন। এমনটাই অভিমত ডাক্তারদের। সেই ‘মিরাকল’ ঘটুক, হাদি আবার ফিরে আসুন– এমনটাই কামনা করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু। সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে এমনটা জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে মেঘমল্লার লেখেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি সব সময়ই আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিলেন। উনি এমন বহু কাজ করেছেন, কথা বলেছেন যেগুলার প্রচণ্ড সমালোচনা আমি করেছি। তার কথায় ক্রোধান্বিত হয়েছি। আশা করি দয়াল উনাকে সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফেরত পাঠাবেন এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের অনেক তীব্র মতবিরোধ হবে আমাদের।’
ডাকসু নির্বাচনের ঠিক আগে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল মেঘমল্লারকে। সে সময়ে ওসমান হাদির একটি ঘটনাও তুলে ধরেন তিনি। মেঘমল্লার বলেন, ‘কিন্তু এই মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে যে আমার অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অপারেশনের সময় হাদি ভাই আমার পোস্ট শেয়ার করে লিখেছিলেন ‘গেট ওয়েল সুন, ব্রাদার’। পরে কমেন্টে উনার সমর্থকরা আমি গণহত্যার সম্মতি উৎপাদনকারী হওয়ার পরও কীভাবে উনার ভাই হইলাম এই সংক্রান্ত কমেন্টে উনার শেয়ার করা পোস্ট সয়লাব করে দেওয়ার পর উনি ব্রাদার শব্দটুকু কেটে দেন।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কিন্তু এরকম হওয়ার কথা ছিল না। ২৪ এর অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমাদের ‘শত্রু’ থেকে ‘প্রতিপক্ষ’ হয়ে ওঠার কথা ছিল। এক পক্ষের লোকের প্রতি আরেক পক্ষের ব্যক্তিগত স্তরে কনসার্ন একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হওয়ার কথা ছিল। সেটা কেন হল না, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতেও আবার রাজনীতি নিয়ে আসতে হবে। সেই আলাপ এখানে করব না।’
ওসমান হাদির সঙ্গে একাধিকবার দেখা হয়েছে মেঘমল্লারের। সেই সব সাক্ষাতে তাকে কেমন মনে হয়েছে, সেটাও জানান তিনি। তার কথা, ‘হাদি ভাইয়ের সাথে জীবনে সামনা-সামনি তিন বার দেখা হয়েছে। প্রত্যেক বারই খুবই অমায়িক আচরণ করেছেন। আমাদের অনেককেই রাজনীতির প্রয়োজনে অনেক আগ্রাসী পশ্চার করতে হয়, যারা ব্যক্তিগত আচরণে খুবই অমায়িক। শরিফ ওসমান হাদিকে আমার এমন মানুষই মনে হয়েছে, খুব সীমিত ইন্টার্যাকশানে।’
পোস্টের শেষে আশা করেছেন হাদির ‘মিরাকল’ ঘটানোর। তিনি বলেন, ‘কোনো এক মিরাকেলের মধ্যে দিয়ে ফিরে আসেন, ব্রাদার।’




Comments