Image description

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) শুয়েই পেয়েছেন ছেলের দেশে ফেরার খবর শুনেছেন খালেদা জিয়া। খবরটি কয়েক দিন আগে বিএনপির চেয়ারপারসনকে জানান তাঁর পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন।

ছেলের এমন স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের খবরে স্বস্তিতে মা খালেদা জিয়া। আগামীকাল দেশে ফিরেই তারেক রহমান যাবেন এভারকেয়ারে, ১৭ বছর পর সেখানেই হবে দেশের মাটিতে মা-ছেলের ঐতিহাসিক পুনর্মিলন।  

দেশের মাটিতে তাদের শেষ দেখা হয় ২০০৮-এর ১১ সেপ্টেম্বর। সেদিন বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই খালেদা জিয়া ছুটে যান বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছেলে তারেক রহমানকে দেখতে। 

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার বলেন, ‘চেয়ারপারসনের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার খবরে স্বস্তিবোধ করছেন তিনি।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. জিয়াউল হক জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন এখনও সিসিইউতেই আছেন। আরেকটু শারীরিক উন্নতি হলে কেবিনে আনার সিদ্ধান্ত হবে। উনার শারীরিক অবস্থার আপাতত অবনতি হয়নি, এটাই ভালো লক্ষণ। 

মেডিকেল বোর্ডের আরেকজন সদস্য বলেন, উনার শরীরে গুরুতর ইনফেকশনের কারণে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উনি চিকিৎসা সফলভাবে গ্রহণ করতে পারছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ নভেম্বর তাঁকে নেওয়া হয় সিসিইউতে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত দেশি-বিদেশি ৩০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন বৈঠক করে চিকিৎসায় বদল আনছে।