সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘জামায়াতের জনৈক শীর্ষ নেতার কিছু বক্তব্য এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ভাইরাল। তিনি বলেছেন, নো হাঙ্কি পাঙ্কি, সোজা আঙুলে যদি ঘি না ওঠে, তাহলে আঙুল বাঁকা করে ঘি উঠাব। এই বক্তব্য ঘিরে সারা বাংলাদেশে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে।’
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওবার্তায় রনি বলেন, ‘জামায়াতের লোকজনকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে দেখে এসেছি তারা নরম ভাষায় কথাবার্তা বলেন, মুখ দিয়ে আজেবাজে শব্দ উচ্চারণ করেন না, সব জায়গায় একটা বিনয়ী ভাব দেখায় এবং মানুষের মন জয় করার জন্য তারা প্রাণান্ত নরম ভাষা ব্যবহার করে সাহায্য-সহযোগিতা করেন।
কিন্তু গত ১৪ মাসে দেখা গেল, তারা অনেকটা প্রচলিত রাজনীতিবিদদের মতোই হুংকার দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘তারা এই গত ১৪ মাসে খুব রাগ হচ্ছেন, খুব জোরে জোরে কথা বলছেন, মুখে যা আসে তা-ই বলছেন। ফলে জামায়াত নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা ভয় চলে এসেছে। যে বিষয়গুলো মানুষ ভুলতে বসেছিল; রাজাকার, আলবদর এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা, সেগুলো আবার নতুন করে ডিজিটাল ফর্মে আমাদের সামনে আসছে।
এটা যদি জামায়াত ঠিক করতে না পারে, তাহলে জামায়াতের মুখে আর যা-ই হোক, ইসলাম শব্দটি এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না।’
রনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে মানুষ যখন খুব ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে যায় এবং যখন মানুষ তার ধৈর্য হারিয়ে ফেলে, ভয় পায়, আতঙ্কগ্রস্ত থাকে; তখনই মানুষ কিন্তু গালাগালি করে। তখনই মানুষ জোরে জোরে কথা বলে, চিৎকার করে। তো এই যে জামায়াত এ সময়টাতে যে চিৎকার করছে, গালাগালি করছে, আজেবাজে কথা বলছে; হয়তো এর অর্থ তারা বোঝেন, হয়তো বোঝেন না।’
তিনি বলেন, ‘এই শব্দ দুটি যে তারা ব্যবহার করেছেন, কতটা অজ্ঞতা নিয়ে তারা এই শব্দ দুটি ব্যবহার করেছে। আর যদি অজ্ঞতা না থাকে, তাহলে কতটা অশ্লীলতা, কতটা বাজে স্বভাব এবং কতটা মূর্খতা থাকলে একটা মানুষ এই শব্দগুলো ব্যবহার করতে পারে। অথবা জামায়াত অহংকারী হয়ে পড়েছে। তা না হলে এই ধরনের শব্দ মানুষ সাধারণত ব্যবহার করে না।’




Comments