Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সাংবাদিকরা সবসময় তাদের কলম উঁচু রেখেছেন।” 

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি, সাধারণ সম্পাদক মাহদি হাসানসহ ক্যাম্পাসে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি সাংবাদিকরা।

ভিপি সাদিক তার বক্তব্যে বলেন, “ফ্যাসিবাদী আমলে যে অন্যায়-অবিচার হয়েছে, তখনও আমরা দেখেছি ঢাবি ক্যাম্পাসের সাংবাদিকরা নির্ভীক ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ করে গত জুলাই মাসের কঠিন সময়ে সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকা নিঃসন্দেহে সম্মানের যোগ্য। আমরা সেই ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, স্যালুট জানাই।”

তিনি আরও বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সারা বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক, আর ঢাবি সাংবাদিক সমিতি হলো সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ দেখানো শক্তি। তারা বরাবরই দায়িত্বশীল ও সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন, যা শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।”

ডাকসুর ভিপি জানান, জুলাইয়ের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে চমৎকার ও সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা হঠাৎ আসেনি। এর পেছনে সাংবাদিক সমিতির বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। 

তিনি বলেন, “আমরা চাই ডাকসুকে একটি নীতিনির্ধারণী প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করতে। আমাদের কার্যক্রম হবে পলিসি রিফর্মভিত্তিক, যাতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘমেয়াদে উপকৃত হতে পারেন।”

ভিপি সাদিক তার বক্তব্যে ডাকসুর নিয়মিত নির্বাচন আয়োজনের গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “যেভাবে আমার নিজের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নিয়মিতভাবে হয়, তেমনি ডাকসুর নির্বাচনও যেন একটি নিয়মিত প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাব।”

মতবিনিময় সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি বলেন, “ডাকসুর প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সদস্য হলেও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা সিন্ডিকেটের সদস্য নন। অথচ সিন্ডিকেট থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ডাকসুর প্রতিনিধিদেরও সিন্ডিকেটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও পৌঁছে যাবে।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে ডাকসুর প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নীতি প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন।

অনুষ্ঠান শেষে ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক সাংবাদিকদের সঙ্গে নতুনভাবে সমন্বয়, যোগাযোগ ও সহযোগিতার ভিত্তি গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, ডাকসু ও সাংবাদিক সমিতি যৌথভাবে কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় আরও গণতান্ত্রিক, অংশগ্রহণমূলক ও ইতিবাচক পরিবেশ পাবে।

এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সঙ্গে ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপির প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।