
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল ও সিনেট নির্বাচনে ভোটাদানে শিক্ষার্থীদের আঙুলে যে কালি দেওয়া হচ্ছে, সেটি ‘মুছে যাচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল ও কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি নির্বাচন কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে, ভোট দেওয়ার পরপরই কয়েকজন শিক্ষার্থী ভোটকেন্দ্র থেকে বের হয়ে দাবি করেন যে তাদের আঙুলে লাগানো কালি অমোচনীয় নয়।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফী নিজের আঙুলের কালি মুছে যাওয়ার চিত্র দেখিয়ে অভিযোগ করেন, ‘আমি হাবিবুর রহমান হলের ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়েছি। দেখেন কালি মুছে গেছে। পানিও দিতে হয়নি।’
রহমতুন্নেসা হলের ফাইন্যান্স বিভাগের (২০১৯–২০ সেশন) শিক্ষার্থী আশফিয়া তাবাসসুম বলেন, আমি শুধু ভোট দিতে ক্যাম্পাসে এসেছি। ভোট প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে হয়েছে, কিন্তু বের হওয়ার পর দেখি আঙুলের কালি সহজেই মুছে যাচ্ছে। এমনটা হওয়ার কথা নয়।
এর আগে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। সেখানেও ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় যে কালি দেয়া হচ্ছে, তা মুছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে আঙুলের অমোছনীয় কালি উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে চাকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দীন বলেছিলেন, জাতীয় নির্বাচনে জার্মান থেকে কালি আনা হয়। ব্যবহারের পর বাকিটা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। আমরা সব ধরনের চেষ্টা করেছি, সেই কালি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। আমরা নিয়ম রক্ষার জন্য কালির ব্যবস্থা করেছি।
Comments