শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খানের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তার পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে শাখা ছাত্রদলসহ ৭ ছাত্র সংগঠন।
সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ব্যানারে সোমবার দুপুর ১২টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। এর ফলে ভিতরে আটকা পড়েন উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন ও নারী অঙ্গনের নেতাকর্মীরা।
ছাত্র নেতারা জানান, বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য শামীম উদ্দিন খান পাকিস্তানিদের যোদ্ধা বলেছে। অথচ এই পাকিস্তানি বাহিনী এদেশের জনগণকে হত্যা করেছে। মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে। তার এ বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ না করলে তালা খোলা হবে না।
এর আগে, গতকাল ১৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা জীবিত না মৃত অবস্থায় ফিরবে- সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে-এই ধারণা রীতিমতো অবান্তর।’
এর প্রতিবাদে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বর প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাখা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ও বামপন্থী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। কর্মসূচিতে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের বক্তব্যের প্রতিবাদে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের দাবি তোলেন তারা।




Comments