
পঞ্চগড়ের বোদায় মুনিয়ারা খুকি (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী জুলফিকার আলী পলাতক রয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুলফিকারের বাবাসহ তিন জনকে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের সর্দারপাড়া এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে নেওয়ার পরে দিবাগত রাত দেড়টায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
নিহত খুকির পরিবার জানায়, ১১ বছর আগে জুলফিকার আলীর সাথে মুনিয়ারা খুকির বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর খুকির ওপর নানা কারণে জুলফিকার ও তার পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন করতেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খুকিকে নির্যাতন করা হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রথমে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত দেড়টায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খুকি।
খুকির পরিবারের অভিযোগ, বুধবার সকালে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়, ডায়াবেটিস নিল হয়ে মারা গেছে খুকি। খুকির পরিবারের সদস্যরা গোসলের সময় তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে পালিয়ে যান জুলফিকার। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে মর্গে পাঠায়।
খুকির বাবা মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে কারণে-অকারণে নির্যাতন করত জুলফিকার ও তার পরিবারের লোকজন। আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে ওরা। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
বোদা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, ‘ওই গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে মরদেহ ময়নাতদন্তে জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে এবং গৃহবধূর শ্বশুরসহ তিনজনকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে।’
Comments