Image description

নরসিংদীতে মাদকাসক্ত স্বামীর সংসারে অনিহা প্রকাশ করায় স্ত্রী-শিশু সন্তান ও শ্যালিকাসহ ৬ জনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়া এলাকায় এই ঘটনা হয়।

অগ্নিদগ্ধরা হলো রিনা বেগম (৩৮), তার তিন ছেলে জিহাদ (২২) ফরহাদ (১৪) তাওহিদ (৬) এবং রিনার ছোট বোন সালাম বেগম (৩৫) ও তার ছেলে আরফাত (১৪)। ঘটনার পর অগ্নিদগ্ধ ৬ জনের মধ্যে তিনজকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সর্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদকাসক্ত ফরিদ মিয়া পলাতক রয়েছে।

অগ্নিদগ্ধ আহত ও তাদের স্বজনরা জানায়, নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও শিবপুর উপজেলার ইটাখোলায় বসবাসকারী ফরিদ মিয়া একজন মাদকাসক্ত ও চিহ্নিত অপরাধী। দীর্ঘদিনের সংসার জীবনে ভরণ-পোষণসহ দায়িত্ব পালন না করায় স্বামী সংসার ছেড়ে সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়ায় বাবার বাড়িতে সন্তানসহ আশ্রয় নেন রিনা বেগম। পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবুর্চির সহযোগি হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

সম্প্রতি রিনা বেগমকে নিজের সংসারে ফিরে যেতে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলেন ফরিদ মিয়া। গতকাল রাতে ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় রিনার বসত ঘরে পেট্রোল ছিটিয়ে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা চালান তিনি। এসময় তাদের আর্ত চিৎকারের ফলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যান ফরিদ মিয়া।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাদের মধ্যে তিনজনকে রাজধানীর বার্ন ও প্লাস্টিক ইউনিটে পাঠায়।

এ ব্যাপারে নরসিংদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক অনিক কুমার গুহ বলেন, ‘৯৯৯ এ খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে কীভাবে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে তা আমরা এখনো বলতে পারছি না। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’

এদিকে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ না পেলেও কেন এই ঘটনা ঘটেছে তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ। সেইসাথে আসামিদের ধরতে পুলিশী অভিযান চলছে।’