ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলার তদন্তভার পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। সোমবার ঘটনাপ্রবাহের এই গুরুত্বপূর্ণ দুটি তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলাটির তদন্ত এখন থেকে পরিচালনা করবে ডিবির মতিঝিল বিভাগ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার গুরুত্ব ও তদন্তের স্বার্থে মামলাটি থানা থেকে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। এর আগে বেলা ১১টা ২২ মিনিটের দিকে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
দুপুরের দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ওসমান হাদিকে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। দুপুর দেড়টার কিছু আগে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে এবং তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়।
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল ও সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সম্মতিতে এই দীর্ঘ আকাশপথের যাত্রার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টা উড্ডয়নের পর তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার কথা রয়েছে।
এই সফরে ওসমান হাদির সঙ্গে রয়েছেন তার ভাই ওমর বিন হাদি এবং বন্ধু ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধা আমিনুল হাসান ফয়সাল।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ঢাকা-৮ আসনের এই সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং পরে পরিবারের ইচ্ছায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। জুলাই আন্দোলনের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতার ওপর হামলার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থা সংকটপূর্ণ ছিল।




Comments