Image description

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের নামে দুবাইয়ে এক নতুন ইতিহাস তৈরি হতে চলেছে। ৫৫ তলাবিশিষ্ট একটি আকাশচুম্বী বাণিজ্যিক ভবনের নামকরণ করা হয়েছে 'শাহরুখজ বাই দানিউব'। এই প্রথম কোনো অভিনেতার নামে দুবাইয়ে এমন একটি বাণিজ্যিক ভবনের নামকরণ করা হলো।

বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ে জাঁকজমকপূর্ণ এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে স্বয়ং শাহরুখ খান উপস্থিত ছিলেন। দানিউব গ্রুপের চেয়ারম্যান রিজওয়ান সাজানের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শাহরুখ মঞ্চে উঠতেই করতালিতে ফেটে পড়ে পুরো হল। নৃত্য পরিচালক ফারাহ খান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

মঞ্চে উঠে শাহরুখ তার স্বভাবসুলভ রসিকতার ভঙ্গিতে বলেন, "আমি এবার ঈদের চাঁদের মত হয়ে গেছি, বাইরে কম আসি, কিন্তু এলে ধামাকা নিয়েই আসি!" আবেগ আপ্লুত হয়ে অভিনেতা তার প্রয়াত মায়ের কথা স্মরণ করে বলেন, "আমার মা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। আমার জন্য এটা দারুণ সম্মান।" এরপর কিছুটা মজার ছলে তিনি যোগ করেন, "আমি যখন আমার সন্তানদের দুবাইয়ে নিয়ে যাব, তখন বলব ‘দেখ, এটা তোমাদের বাবার বিল্ডিং' যদিও এটা রিজওয়ান ভাইয়ের! কিন্তু নাম তো আমারই লেখা থাকবে!”

শাহরুখ ভেবেছিলেন টাওয়ারের উদ্বোধন দুবাইতে হবে, কিন্তু রিজওয়ান সাজান তাকে জানান, "না, আমার দেশ আমার খুব কাছের। তাই এটা মুম্বাইয়ে লঞ্চ করতে চাই।"

'শাহরুখজ বাই দানিউব' নামের এই ৫৫ তলা অফিস টাওয়ারে অত্যাধুনিক সব সুবিধা থাকবে, যার মধ্যে হেলিপ্যাড থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের ‘এয়ার ট্যাক্সি’ স্টেশন পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত। ভবনের প্রবেশমুখে শাহরুখ খানের বিখ্যাত হাত মেলে দাঁড়ানো স্ট্যাচু স্থাপন করা হবে।

অনুষ্ঠানে রিজওয়ান সাজানের ছেলে অ্যাডেল সাজান বলেন, "এটা শুধু একটা টাওয়ার নয়; আমরা চাই এটি একটি পর্যটন স্থানে পরিণত হোক। যেমন আমার মা মুম্বাই এলে আগে মান্নাতের সামনে ছবি তোলে, তেমনই লাখ লাখ ভারতীয় দুবাইয়ে গিয়ে শাহরুখের ভাস্কর্যের সঙ্গে ছবি তুলবে।”

শাহরুখের নামে এই টাওয়ার নির্মাণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নায়কের ভক্তরা ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।

আগামী বছর শাহরুখ খানকে 'কিং' সিনেমায় দেখা যাবে, যেখানে প্রথমবারের মতো তার মেয়ে সুহানা খানও বড় পর্দায় আসছেন। এই সিনেমায় বাবা-মেয়েকে গুরু-শিষ্যার চরিত্রে দেখা যেতে পারে। সিনেমাটিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন দীপিকা পাড়ুকোন, রানি মুখার্জি, অনিল কাপুর, রাঘব জুয়াল, সৌরভ শুক্লা ও জয়দীপ আহলাওয়াত।