Image description

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেবে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন। একইসঙ্গে ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সংস্থাটির কাছে একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়। 

দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার দিন সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ডব্লিউএইচও থেকে তার দেশের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে নির্বাহী আদেশে সই করেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সংস্থাটিতে মার্কিন সরকারের অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণাও দেওয়া হয়। কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে ডব্লিউএইচও-এর ভূমিকার কট্টর সমালোচক ছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই সোমবার ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে এক বক্তব্যে বলেছেন, ‌‘বিশ্ব স্বাস্থ্য আমাদের ঠকিয়েছে।’

ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেওয়ার ঘোষণা আগেও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে তিনি ডব্লিউএইচওর ওপর চীনের প্রভাব থাকার অভিযোগ তুলে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। তবে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার পরে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে।

নতুন নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প তার দেশের সরকারি সংস্থাগুলোকে ডব্লিউএইচও-কে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অর্থ, সহায়তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ডব্লিউএইচওকে বছরে আনুমানিক ৪৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
 
জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ডব্লিউএইচও থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চিঠি পাওয়া গেছে। চিঠির তারিখ ২০২৫ সালের ২২ জানুয়ারি। নিয়ম অনুসারে, এক বছর পর ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ প্রত্যাহারের নোটিশ কার্যকর হবে।