
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণের পর গত প্রায় ২ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে আটক হয়েছে ৪৭ হাজার ৬০০ জন নথিবিহীন অভিবাসী। এদের বেশিরভাগ ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর আটক হয়েছে।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি যেদিন তিনি শপথ নেন, সেদিন কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। সেসব আদেশের মধ্যে ‘আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন জনগণকে সুরক্ষা প্রদান’ নামের একটি আদেশও ছিল।
ট্রাম্প বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নথিবিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে মার্কিন অভিবাসী বিষয়ক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইউএস ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)।
আটক কিংবা গ্রেপ্তার অভিবাসীদের একটি বড় অংশকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বাকিদের বিভিন্ন বন্দি শিবিরে আটক রাখা হয়েছে। আইসিই’র তথ্যকেন্দ্র থেকে জানা গেছে, বন্দি এই ৪৭ হাজার ৬০০ অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে ৩২ হাজার ৮০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে। বাকি ১৪ হাজার ৮০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ট্রাম্পের পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে।
এই অভিবাসীদের মধ্যে যেমন পুলিশের তালিকাভুক্ত অপরাধী আছেন, তেমন এমন অনেকেই রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে বৈধ নথি ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ব্যতীত আর কোনো অপরাধে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে নথিবিহীন অভিবাসীদের বিশেষ কারাগারে বা বন্দিশিবিরে রাখা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইসিই যৌধভাবে পরিচালনা করে এসব শিবির। আইসিই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিবিরগুলোতে মোট বন্দির সংখ্যা কারাগারের ধারণক্ষমতাকে ছাড়িয়ে গেছে।
আইসিই’র পরিচালিত এসব বন্দি শিবিরের মোট ধারণক্ষমতা ৪১ হাজার ৫০০ জন। অর্থাৎ, এই মুহূর্তে শিবিরগুলোতে ধারণক্ষমতার চেয়েও অতিরিক্ত বন্দি আছেন ৬ হাজার ১০০ জন।
আইসিই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্দি শিবিরগুলোর ধারণক্ষমতা বাড়াতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপরে শিগগিরই পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।
সূত্র : রয়টার্স
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments