Image description

মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি জোর দিয়ে বলেছেন যে, আন্তর্জাতিক বৈধতার নীতির ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠিত না হলে মধ্যপ্রাচ্যে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূমির মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য স্বাধীন ফিলিস্তিন অপরিহার্য।

ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার মধ্যেই মিশরের প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করলেন। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়, গাজার পুনর্গঠন, এবং একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন ও স্বীকৃতির জন্য একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পথের সূচনা স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার সঠিক পথ।

বর্তমানে মিশর ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে আলোচনা আয়োজন করছে, যেখানে যুদ্ধের অবসানের জন্য মধ্যস্থতাকারীরাও অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যেও গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের হামলায় ২১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯৬ জন আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা জুড়ে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৬৭,১৬০ জন নিহত এবং ১,৬৯,৬৭৯ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গণহত্যা বন্ধে ফিলিস্তিনি জনগণ এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো দ্বারা সমর্থিত যেকোনো যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে তেহরান স্বাগত জানাবে। তারা গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার, ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠনের প্রবেশ নিশ্চিত করার কথা বলেছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরান এই বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্তকে ফিলিস্তিনি জনগণ এবং প্রতিরোধের কর্তৃত্বের মধ্যে বিবেচনা করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সহিংসতা বন্ধ করা সরকার এবং উপযুক্ত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ইহুদিবাদী শাসনের অপরাধের বিরুদ্ধে আইনি ও বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্বকে অস্বীকার করে না। এর মধ্যে গাজায় যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচার করা বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত।