পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এরপরই ‘নৈতিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না’ এমন আক্ষেপ করে লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শামস মেহমুদ মির্জা শনিবার তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পদত্যাগপত্রে বিচারপতি মির্জা উল্লেখ করেছেন যে, সর্বশেষ সংবিধান সংশোধনীর প্রেক্ষিতে তিনি নৈতিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
শামস মেহমুদ মির্জা ২০১৪ সালে লাহোর হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন। তিনি প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জিয়া মুহাম্মদ মির্জার ছেলে।
এদিকে শামস মেহমুদ মির্জার পদত্যাগকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন লাহোর হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। তারা অভিযোগ করেন, সংবিধান সংশোধনীকে সুপ্রিম কোর্টকে ভেঙে দিয়েছে, বিচার বিভাগকে নির্বাহী নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং সাংবিধানিক গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিতেই আঘাত হেনেছে।
অন্য বিচারপতিদেরও পদত্যাগ করার আহ্বান জানায় সংগঠনটি। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সোমবার কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে।
এর আগে ‘সংবিধান আর রইল না’ এমন আক্ষেপ করে বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মনসুর আলী শাহ ও আতহার মিনাল্লাহ পদত্যাগপত্র জমা দেন।
দুজন বিচারপতিই পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদিকে চিঠি দিয়ে ফুল কোর্ট বৈঠক ও বিচারবিষয়ক সম্মেলন ডাকার অনুরোধ করেছিলেন, যাতে ২৭তম সংশোধনী নিয়ে আদালতের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রপতিকে লেখা পদত্যাগপত্রে বিচারপতি মনসুর আলী শাহ এই সংশোধনীকে আখ্যা দিয়েছেন ‘পাকিস্তানের সংবিধানের ওপর এক গুরুতর আঘাত’ হিসেবে।
অন্যদিকে বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘আমি ১১ বছর আগে যে সংবিধানের শপথ নিয়েছিলাম, তা আর নেই।’ সূত্র: ডন




Comments