সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি, সংবেদনশীল শিলিগুড়ি করিডোরের (চিকেন নেক) কাছাকাছি চীনের উপস্থিতির আশঙ্কা এবং দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের মতো একাধিক ঘটনার জেরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ‘চিকেন নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডোরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।
দেশের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করিডোরটির নিরাপত্তা পরিকাঠামো নতুন করে খতিয়ে দেখতে শনিবার শিলিগুড়ির সেন্ট্রাল আইবি (ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো) কার্যালয়ে উচ্চপর্যায়ের এক নিরাপত্তা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর ইটিভি ভারতের।
বৈঠকে ভারতের চারটি সীমান্তরক্ষী বাহিনী—বিএসএফ, এসএসবি, আইটিবিপি ও আসাম রাইফেলসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, আর্মি ইন্টেলিজেন্স এবং কেন্দ্রীয়-রাজ্য সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মকর্তারাও এই জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকে অংশ নেন।
গোয়েন্দা ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও কেন্দ্রীয় রেল পুলিশ (আরপিএফ), রাজ্য রেল পুলিশ (জিআরপি), সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ), বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও), কেন্দ্রীয় সড়ক দপ্তর এবং এশিয়ান হাইওয়ে কর্তৃপক্ষের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
অত্যন্ত সংবেদনশীল এই বৈঠকের বিষয়ে কোনো প্রেস বিবৃতি জারি না হলেও সূত্র মারফত জানা যায়, বৈঠকে ‘চিকেন নেক’ করিডোরে নজরদারি আরও কঠোর করা, সীমান্ত এলাকায় দ্বিগুণ তৎপরতা চালানো এবং গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলোতে সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এই করিডোরে যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হতে না পারে, সেদিকেই এখন কড়া নজর রাখছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।




Comments