বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি স্থগিত করছে যুক্তরাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়
যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ। ভিসা পদ্ধতির অপব্যবহার, রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বৃদ্ধি এবং ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত বা সীমিত করেছে যুক্তরাজ্যের অন্তত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় উলভারহ্যাম্পটন, লন্ডন মেট্রোপলিটন, অক্সফোর্ড ব্রুকসসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশিদের আবেদন গ্রহণ বন্ধ রেখেছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, তাদের মোট ভিসা বাতিলের ৬০ শতাংশের জন্যই দায়ী বাংলাদেশ। এ কারণে তারা আপাতত বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে।
ইউনিভার্সিটি অব উলভারহ্যাম্পটন: বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে স্নাতক পর্যায়ে কোনো আবেদন গ্রহণ করছে না।
অক্সফোর্ড ব্রুকস ইউনিভার্সিটি: আগামী জানুয়ারি সেশনের জন্য বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ভর্তি বন্ধ রেখেছে।
অন্যান্য: এছাড়া ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার, ইস্ট লন্ডন ইউনিভার্সিটি, সান্ডারল্যান্ড, কভেন্ট্রি ও বিপিপি ইউনিভার্সিটি ‘উচ্চ ঝুঁকি’ বিবেচনায় এই দুই দেশ থেকে শিক্ষার্থী ভর্তিতে কঠোর বা স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
চলতি বছর ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা এনেছে। আগে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য ছিল, যা কমিয়ে এখন ৫ শতাংশ করা হয়েছে। অথচ গত এক বছরে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের গড় হার ছিল ২২ শতাংশ এবং পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ। এই উচ্চ হারের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের স্পনসরশিপ লাইসেন্স হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছে।
সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী ডেম অ্যাঞ্জেলা ইগল সতর্ক করে বলেছেন, স্টুডেন্ট ভিসাকে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের ‘চোরাপথ’ হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। মূলত অনেক শিক্ষার্থী ব্রিটেনে গিয়ে পড়াশোনার পরিবর্তে রাজনৈতিক আশ্রয় বা কাজের দিকে ঝুঁকছেন বলেই এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।




Comments