সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এক বন্দুকধারীর অতর্কিত হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন বেসামরিক মার্কিন দোভাষী নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, এ ঘটনায় আরও তিন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। পাল্টা হামলায় ওই বন্দুকধারীও নিহত হয়েছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে পরিচালিত একটি ‘আইএস হামলা’। এর জবাবে ‘খুবই কঠোর প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এদিকে, সিরিয়া সরকারও এক বিবৃতিতে এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
সেন্টকমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহতদের পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত না করা পর্যন্ত তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে সেন্টকম জানায়, হামলাটি ছিল ‘একজন একক আইএস বন্দুকধারীর পরিকল্পিত অ্যামবুশ’।
পেন্টাগনের এক কর্মকর্তাও প্রাথমিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে জানিয়েছেন, হামলাটি আইএস চালিয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ দাবি করেছে, হামলাকারী ব্যক্তি সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি এবং হামলাকারীর পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়নি।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল জানান, সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরা শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সে সময় মার্কিন সেনারা সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিচ্ছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তবে হামলাটি এমন একটি এলাকায় ঘটেছে, যেখানে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।’
ট্রাম্প জানিয়েছেন, আহত তিন মার্কিন সেনা বর্তমানে ভালো আছেন। অন্যদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই হামলায় তাদের দুইজন নিরাপত্তা সদস্যও আহত হয়েছেন।




Comments