Image description

যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ণমাত্রার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তালিকায় নতুন করে আরও ৭টি দেশ যুক্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন। এর ফলে এসব দেশ ও ভূখণ্ডের নাগরিকেরা এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননিরাপত্তার হুমকি থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য স্ক্রিনিং, ভেটিং এবং তথ্য ভাগাভাগিতে গুরুতর ঘাটতি রয়েছে এমন দেশগুলোর নাগরিকদের উপর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণ এবং জোরদার করার একটি ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছেন।

তালিকায় থাকা নতুন দেশগুলো হলো—সিরিয়া, বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, সিয়েরা লিওন, লাওস ও দক্ষিণ সুদান।
 
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি ওয়াশিংটন। তাই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সরাসরি ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র’ বলা হয়নি।
 
এর আগে গত জুনে ১২টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। দেশগুলো হলো—ইরান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

হোয়াইট হাউস জানায়, নতুন নিষেধাজ্ঞা ১ জানুয়ারী থেকে কার্যকর হবে।

নভেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সাথে ঐতিহাসিক আলোচনার পর ট্রাম্প সিরিয়াকে সফল করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন- এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারপরও সিরিয়াকে এই তালিকায় রাখা হলো। 
 
রয়টার্স বলছে, ট্রাম্প শারাকে সমর্থন করেছেন, যার নেতৃত্বে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী নেতা বাশার আল-আসাদের পতন ঘটেছে এবং তারপর  থেকে শারা বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করে নিজেকে একজন মধ্যপন্থি নেতা হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছেন। যিনি তার যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকার অবসান ঘটাতে চান।
 
কিন্তু শনিবার (১৩ ডিসেম্বর)  ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে ট্রাম্প খুব গুরুতর প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

যখন মার্কিন সেনাবাহিনী বলেছে, সিরিয়ায় একজন সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেট আক্রমণকারী আমেরিকান ও সিরিয়ান বাহিনীর একটি কনভয়কে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দুই মার্কিন সেনা এবং একজন বেসামরিক দোভাষীকে হত্যা করেছে।
 
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেয়া মন্তব্যে তিনি ঘটনাটিকে ভয়াবহ আক্রমণ বলে বর্ণনা করেছেন।
 
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সিরিয়া দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ এবং অভ্যন্তরীণ সংঘাতের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসছে। যদিও দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে তার নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে, তবুও সিরিয়ায় পাসপোর্ট বা নাগরিক নথিপত্র প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের অভাব রয়েছে এবং তাদের যথাযথ স্ক্রিনিং এবং যাচাই-বাছাই ব্যবস্থা নেই।
 
এর আগে জুন মাসে ট্রাম্প ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। 

তিনি বলেন, বিদেশি সন্ত্রাসী এবং অন্যান্য নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য এটি প্রয়োজন। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো অভিবাসী এবং অ-অভিবাসী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, যেমন পর্যটক, শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী।
 
সূত্র: রয়টার্স