ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী বৃহস্পতিবার অভিযানে এক শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডারসহ চারজন বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে দুজন নারীও রয়েছে। দেশটির পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ বর্তমানে গেরিলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালাচ্ছে।
নয়াদিল্লি মাওবাদী বিদ্রোহ দমনে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে এবং ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে এ আন্দোলন নির্মূলের অঙ্গীকার করেছে।
পূর্বাঞ্চলীয় ওডিশা রাজ্যের পুলিশ জানায়, কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী তার অবস্থান সম্পর্কে গোপন তথ্য পাওয়ার পর বন্দুকযুদ্ধে মাওবাদী কমান্ডার গণেশ উইকেকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
৬৯ বছর বয়সী উইকে উপকূলীয় রাজ্যটিতে মাওবাদী বিদ্রোহীদের নেতা ছিলেন এবং তার মাথার ওপর এক লাখ ২০ হাজার ডলারেরও বেশি পুরস্কার ঘোষণা ছিল।
রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা যোগেশ বাহাদুর খুরানিয়া বলেন, বন্দুকযুদ্ধের পর ‘চারটি মাওবাদী লাশ’ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের একজন উইকে।
খুরানিয়া আরো জানান, বাকি তিনজন-দুই নারী ও এক পুরুষ ও বিদ্রোহী যোদ্ধা ছিলেন এবং তাদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সদস্য হতাহত হয়নি। ওই একই রাজ্যে বুধবার আরো দুজন মাওবাদী যোদ্ধা নিহত হয়।
ভারত সরকার ‘নকশালপন্থী’ বিদ্রোহের অবশিষ্টাংশের বিরুদ্ধে অভিযানে রয়েছে এটি হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত একটি গ্রামের নামানুসারে পরিচিত, যেখানে প্রায় ছয় দশক আগে মাওবাদী-অনুপ্রাণিত এই সশস্ত্র আন্দোলনের সূচনা।
বিদ্রোহটি একসময় দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত এবং ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে যোদ্ধাদের সংখ্যা ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজারে পৌঁছায় বলে ধারণা করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি নাটকীয়ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।




Comments