বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মানুষের ঐক্য ও সংস্কৃতিতে গাঁথা: প্রণয় ভার্মা

বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র দুর্গাষ্টমীর দিনে রাজধানীর ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও তাঁর স্ত্রী। এই শুভক্ষণে তিনি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের গভীরতা এবং দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
পূজার আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারত ইতিহাস এবং ভৌগলিক সান্নিধ্যের এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের যৌথ আত্মত্যাগ এই সম্পর্কের আবেগময় বন্ধনকে আরও মজবুত করেছে।” তিনি আরও জানান, এই সম্পর্ক শুধু রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়, বরং দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ঐতিহ্য এবং মিলিত সংস্কৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত।
দুর্গাপূজার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “দুর্গাপূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সংস্কৃতি, সহমর্মিতা এবং অন্তর্ভুক্তির প্রতীক। এই উৎসব আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আমাদের সম্পর্কের প্রকৃত শক্তি নিহিত রয়েছে আমাদের জনগণের মধ্যে, তাদের ঐতিহ্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার মধ্যে।” তিনি দুর্গাপূজাকে “ভালোর বিজয়, আলোর জয় এবং আশার প্রতীক” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই পূজা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানের শেষে হাইকমিশনার দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেন, যেন “জ্ঞান, সহানুভূতি, শান্তি, সমৃদ্ধি, সুখ ও সম্প্রীতির বর্ষণ ঘটে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় হয়।” তিনি সকলকে দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজার এই আয়োজন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও আবেগময় সম্পর্কের একটি উজ্জ্বল প্রতিফলন। এই ধরনের অনুষ্ঠান দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ঐক্যের বন্ধনকে আরও জোরদার করে।
Comments