Image description

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদী সরকার এসে গুমের রাজত্ব চালাতে পারবে না এবং দেশে কোনো ‘আয়নাঘর’ তৈরি হবে না। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, গুম সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন আছে, যার নাম ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম এনফোরস ডিস অ্যাপিয়ারেন্স’। গত বছর ২৯ আগস্ট বাংলাদেশের উপদেষ্টা পরিষদ এর অনুমোদন করেছে এবং বাংলাদেশ এর অংশীদার হয়েছে। এই কনভেনশনকে অনুসরণ করে ‘গুম প্রতিকার ও প্রতিরোধ-২০২৫ অধ্যাদেশ’ তৈরি করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক আইন।

তিনি আরও বলেন, গুম প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের জন্য একটি আইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল এবং আজ এটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে। এই অধ্যাদেশে গুমকে সংজ্ঞায়িত করার পাশাপাশি এটিকে চলমান অপরাধ (কন্টিনিউয়াস অফেন্স) হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

শফিকুল আলম জানান, গোপন আটক কেন্দ্র স্থাপন, যা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত, সেগুলোর স্থাপন ও ব্যবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার সময়ে বাংলাদেশে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে গুম হয়েছে। গুম বিষয়ক যে কমিশন করা হয়েছে, সেখানে অভিযোগের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। ওই কমিশনের সদস্যরা বারবার বলেছেন যে প্রকৃত সংখ্যা ৪০০-এর উপরে হবে। দেশে শত শত আয়নাঘর ছিল, যেখানে গুম হওয়া ব্যক্তিদের রাখা হতো। যারা গুম হয়েছেন, তাদের কেউ কেউ ফিরে এসেছেন, আবার অনেকে ফিরে আসেননি। বিএনপির অনেক কর্মী এখনো ফিরে আসেননি বলেও তিনি জানান।