ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে পুলিশের দুটি বাসে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় একটি বাস ভাঙচুর করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় রাপা প্লাজার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়কে কেন্দ্র করে দুপুর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধানমন্ডি ৩২ এলাকা। দুপুরে বিক্ষোভকারীরা শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালান।
দুপুর ১২টার দিকে ধানমন্ডি ৩২-এর দিকে অগ্রসর হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এ সময় মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে যান বিক্ষুব্ধরা।
তবে এক্সকাভেটর নিয়ে এগোতে চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা করে বাধা দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। এক পর্যায়ে শতাধিক সেনাসদস্য ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, কলাবাগান থেকে ধানমন্ডি ২৭ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। বিক্ষুব্ধরা সামনে এগোতে চাইলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের পিছু হটাচ্ছে, আবার বিক্ষোভকারীরাও পুলিশকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ সময় একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়।
এর আগে, ৫ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙে ফেলা হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাড়িটি আগুন দিয়েও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের এক বিবৃতিতে শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে চলার জন্য সাধারণ জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ড একটি ঐতিহাসিক রায়। এই রায়ের তাৎপর্য উপলব্ধি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বস্তরের জনগণকে শান্ত, সংযত ও দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।




Comments