Image description

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চলমান জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিশ্চিত করেছেন, সব ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা জানান।

সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই’—এমন মন্তব্যের জবাবে শফিকুল আলম লিখেন, সরকার নির্বাচনের জন্য পূর্ণ প্রস্তুত। তিনি জানান, মাঠ পর্যায়ে নতুন ডিসি ও এসপি নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের সময় রেকর্ডসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নজিরবিহীনভাবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। আশা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে।

স্ট্যাটাসে প্রেস সচিব সাফ জানিয়ে দেন, আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং হাজার হাজার নির্বাচনে কারচুপির হোতা একটি দলকে নির্বাচনে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নই আসে না। তাদের নেতৃত্বের হাতে রক্তের দাগ রয়েছে। বিচার এবং প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা ছাড়া দলটির রাজনীতিতে ফেরার কোনো সুযোগ নেই বলে আমাদের আন্তর্জাতিক সহযোগীরাও মনে করেন।’

জিল্লুর রহমানের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে শফিকুল আলম বলেন, জিল্লুর রহমান বাস্তবতা অতিরঞ্জিত করছেন এবং ষড়যন্ত্রতত্ত্ব প্রচার করছেন। তিনি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ও গোলাম মাওলা রনির মতো ব্যক্তিদের ভুল তথ্য ছড়ানোর মঞ্চ তৈরি করে দিচ্ছেন কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন প্রেস সচিব।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জুলাই চার্টার বা জুলাই সনদ গৃহীত হওয়ার মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। দলগুলো নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে এবং একই দিনে অনুষ্ঠেয় গণভোটের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে। সবশেষে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, ‘জনগণ বোকা নয়। আমি দুটি কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি—আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে না এবং ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’