Image description

আতশবাজি ও উৎসবের আলোয় নতুন বছর ২০২৬-কে স্বাগত জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড। স্থানীয় সময় মধ্যরাতে (গ্রিনিচ মান সময় ১১টা) রাজধানী অকল্যান্ডের আকাশ রঙিন হয়ে ওঠে বর্ণাঢ্য আতশবাজিতে। একই সঙ্গে সামোয়া, টোঙ্গা ও টোকেলাউও নতুন বছরে প্রবেশ করেছে। খবর বিবিসির।

এর আগেই, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০২৬ সালে পা রাখে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র কিরিবাতি। দেশটির একটি প্রত্যন্ত অ্যাটলে নতুন বছর উদযাপন করা এক পর্যটক জানান, তিনি উদযাপন করছেন-‘কোনো স্যাটেলাইট নেই, মানুষের উপস্থিতির কোনো চিহ্ন নেই, চারদিকে সম্পূর্ণ অন্ধকার-আর অসংখ্য কাঁকড়া। একেবারে প্রকৃতির মাঝে।’

নিউজিল্যান্ডের অধিভুক্ত চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ৬০০ বাসিন্দাও নতুন বছর উদযাপন করেছেন। দ্বীপটির একটি হোটেলের মালিক জানান, ‘আমাদের টিম ভোর পর্যন্ত কাজ করবে, তবে আমরা বয়স্করা আগেই বিদায় নেব।’

নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের ওয়ানাকা শহরে ‘রিদম অ্যান্ড আল্পস’ নামের একটি বার্ষিক উৎসবে হাজারো মানুষ সংগীতের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নিচ্ছেন। উৎসবটির আয়োজক হ্যারি গোরিঞ্জ বলেন, ‘সংগীত মানুষকে একত্র করে। বছরের প্রথম মুহূর্তগুলো সংগীতের মাঝে কাটানো মানে-একসঙ্গে থাকার সুরে বছর শুরু করা।’

এদিকে সামোয়ার রাজধানী আপিয়ায় পরিবারগুলো ঐতিহ্যবাহী পানীয় ‘আভা’ (কাভা) পরিবেশনের মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা একসঙ্গে পানীয় ভাগ করে নেন এবং ‘পাতিপাতি’-অর্থাৎ হাততালি ও করতালির মাধ্যমে উৎসব উদযাপন করেন।

স্থানীয় এক রেস্তোরাঁ ব্যবস্থাপক জানান, সামোয়ান সংস্কৃতিতে নববর্ষ মানে-পরিবারের একত্র হওয়া, গত বছরের জন্য কৃতজ্ঞতা জানানো এবং নতুন বছরের জন্য ঐশ্বরিক পথনির্দেশনা কামনা করা।

বিশ্বজুড়ে এখন পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশে শুরু হচ্ছে নতুন বছরের উদযাপন। পরবর্তী বড় আতশবাজির আয়োজন হবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা হাউস এলাকায়।