আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫। ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনটি কেন গুরুত্বপূর্ণ, চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু এবং বিশেষ দিবসসমূহ।
ঘটনাবলি:
-
১২৫৬: হালাকু খান বর্তমান ইরানের আলামুত ও হাশাশিন শহর দখল ও ধ্বংস করেন। এর মাধ্যমে ওই এলাকায় ইসলামি শক্তির ওপর প্রথম আঘাত আসে।
-
১৫১৬: দক্ষিণ আমেরিকায় আর্জেন্টিনার উপকূল আবিষ্কৃত হওয়ার এক বছর পর স্পেনের প্রথম অভিবাসী দলটি ওই এলাকায় প্রবেশ করে।
-
১৬৪০: পর্তুগালের রাজা হিসেবে চতুর্থ জোহানের অভিষেক হয়।
-
১৭৯১: যুক্তরাষ্ট্রে ‘বিল অব রাইটস’ আইন হিসেবে গৃহীত হয়।
-
১৭৯২: যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম জীবন বিমা পলিসি চালু হয়।
-
১৮৫৭: সিলেটে সিপাহিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
-
১৮৭৭: টমাস আলভা এডিসন ফোনোগ্রাফ প্যাটেন্ট করেন।
-
১৯০৬: লন্ডনে পাতাল রেলপথ চালু হয়।
-
১৯১৪: জাপানের মিতসুবিশি কয়লা খনিতে গ্যাস বিস্ফোরণে ৬৮৭ জন নিহত হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সার্বিয়ার সেনাবাহিনী অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে বেলগ্রেড দখল করে।
-
১৯২৮: ব্রিটেনে সর্বপ্রথম টিভি নাটক প্রদর্শিত হয়।
-
১৯২৯: কলকাতায় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।
-
১৯৩৯: জর্জিয়ার আটলান্টার লুইস গ্র্যান্ড থিয়েটারে বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’-এর প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়।
-
১৯৪১: ইউক্রেনের কিয়েভে জার্মান সেনাবাহিনী ১৫ হাজার ইহুদি হত্যা করে।
-
১৯৪৫: জাপান দখলের পর জেনারেল ডগলাস ম্যাকআর্থার শিন্তো ধর্মকে জাপানের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বাতিল ঘোষণা করেন।
-
১৯৪৯: বেইজিংয়ে চীনা গণ পররাষ্ট্র ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হয়।
-
১৯৬১: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ চীনকে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে ভোট দেয়। এছাড়া ইসরায়েলের জেরুজালেমে নাৎসি নেতা অ্যাডলফ আইখম্যানকে ইহুদি হত্যাসহ ১৫টি অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
-
১৯৬৫: বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
-
১৯৭০: সোভিয়েত মহাকাশযান ভেনেরা-৭ সফলভাবে শুক্র গ্রহে অবতরণ করে।
-
১৯৭৫: পশ্চিম আফ্রিকা থেকে স্প্যানিশরা সরে আসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
-
১৯৭৬: সামোয়া জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
-
১৯৭৭: জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) গঠিত হয়।
-
১৯৮৮: যুক্তরাষ্ট্র পিএলও-র সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে ১৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
-
১৯৯৩: সাত বছর আলোচনার পর ১১৭টি দেশ গ্যাট (GATT) চুক্তিতে সম্মত হয়।
-
১৯৯৪: পালাউ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
-
২০০৪: ইংরেজিতে ২৪ ঘণ্টা সংবাদ সম্প্রচারের ঘোষণা দেয় আল-জাজিরা।
-
২০০৬: ঢাকার ধানমন্ডির শংকরে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের উদ্বোধন করা হয়।
-
২০০৭: অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে দেশটির ৭৮ বছরের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জন হাওয়ার্ড নিজ আসনে পরাজিত হন।
-
২০২১: কলকাতার দুর্গাপূজা ইউনেস্কোর ‘আবহমান অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ (Intangible Cultural Heritage) হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
জন্ম:
-
৩৭: নিরো, রোমান সম্রাট।
-
১৬২৬: গ্রেগরি কিং, ইংরেজ পরিসংখ্যানবিদ।
-
১৭৯৭: উইলিয়াম ইয়েটস, শিক্ষাবিদ, বহু ভাষাবিদ ও বাংলা মুদ্রণ শিল্পের পথিকৃৎ।
-
১৮৩২: গুস্তাভ আইফেল, ফরাসি প্রকৌশলী ও আইফেল টাওয়ারের স্থপতি।
-
১৮৫২: অঁরি বেকেরেল, নোবেলজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী।
-
১৮৫৯: লুডভিক লাযারুস জামেনহোফ, পোলিশ চিকিৎসক ও ভাষাবিদ।
-
১৮৭০: জোসেফ হফম্যান, মার্কিন স্থপতি।
-
১৯০০: সতীশচন্দ্র সামন্ত, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সাবেক লোকসভা সদস্য।
-
১৯০৫: ইরাবতী কার্বে, ভারতের নৃবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ।
-
১৯০৬: বন্দে আলী মিয়া, বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও শিশুসাহিত্যিক।
-
১৯০৮: স্বামী রঙ্গনাথানন্দ, রামকৃষ্ণ মিশনের ত্রয়োদশ অধ্যক্ষ।
-
১৯১৬: মরিস উইলকিন্স, নোবেলজয়ী ইংরেজ জীবপদার্থবিজ্ঞানী।
-
১৯৩৩: অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য।
-
১৯৩৫: এ কে এম আবদুর রউফ, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী ও বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানের হস্তলেখক।
মৃত্যু:
-
১২৬৩: চতুর্থ হ্যাকন, নরওয়ের রাজা।
-
১৯২৫: শশীপদ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রগতিবাদী সমাজসেবী।
-
১৯৪০: মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী, বাংলা ভাষার লেখক ও সাংবাদিক।
-
১৯৪১: গাব্রিয়েল পেরি, ফরাসি কমিউনিস্ট নেতা (জার্মান নাৎসি বাহিনীর হাতে নিহত)।
-
১৯৫০: সরদার বল্লভভাই প্যাটেল, উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ভারতীয় কংগ্রেস নেতা।
-
১৯৬৬: ওয়াল্ট ডিজনি, মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক, কাহিনীকার ও অ্যানিমেটর।
-
২০০০: গৌরকিশোর ঘোষ, প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক ও সাহিত্যিক।
-
২০০৬: নিতুন কুণ্ডু, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী, ভাস্কর ও শিল্পউদ্যোক্তা।
-
২০০৭: নবেন্দু ঘোষ, ভারতীয় বাঙালি লেখক ও চিত্রনাট্যকার।
-
২০১৬: জে এন দেব চৌধুরী, হাইকোর্টের বিচারপতি।
-
২০২০: সুধীর চক্রবর্তী, বাঙালি অধ্যাপক, লেখক ও লোকসংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ।
Comments