Image description

আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব। এ কথাটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অলিক স্বপ্নের কথা। জনগণকে বারবার ফাঁদে পড়তে হয়। রাজনীতির কলই বড় ফাঁদ। রাজনীতির বড় মহড়া জাতীয় নির্বাচন, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন। কারণ স্থানীয় পর্যায়ে কেউ কাউকে ছাড় দেয় না। মূল কারণ পরস্পর আস্থাহীনতা ও অবিশ্বাস। 

বর্তমানে রয়েছে রাজনীতি চর্চাকারী ও মাঠ পর্যায়ে জনবান্ধব দক্ষ রাজনীতিবিদের অভাব। মূল কারণ ছিল রাজনীতির সূতিকাগার বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতিচর্চার সুযোগ না দেয়া। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক চর্চা থেকে বিরত রাখা। মতামত ও মূল্যবোধ ভিন্ন হলেও দেশ ও জাতি গঠনে রাজনীতিবিদের ভূমিকা অতুলনীয়। রাষ্ট্রে এ ধরনের ভূমিকা নিতে পারে না। রাষ্ট্রের কাছে প্রত্যেক নাগরিক সমান ও সুবিধাভোগী। 

রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করবে দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীগোষ্ঠী, সমাজ ও রাষ্ট্রকে বিনষ্টকারী ব্যক্তিদের। তাদের ধরে আইনের আওতায় এনে সাধারণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান নিশ্চিত করে একটি অবাধ ও জাতীয় নির্বাচনের দিকে পা বাড়াবে। আজ রাষ্ট্র যখন নতুন একটি অধ্যায়, ঝুঁকি ও সময় পার করছে তখন আরেকটি নতুন ঝুঁকি কাঁধে বহন করা কতটা সমীচীন হবে তা-কি ভেবে দেখেছে- রাষ্ট্র। 

আমাদের প্রজন্মের কথা শোনা যেমন জরুরি তেমনি সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তা দর্শন থেকে বিচ্যুত হচ্ছে কি না তা খেয়াল রাখাও বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে  দরকার স্বচ্ছ, অভিজ্ঞ এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতিকের পরামর্শ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। বর্তমান সরকারকে রাজনীতিবিদের পালস বুঝতে এবং অনুধাবন করতে হবে। এ মুহূর্তে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করা এবং সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ লুটপাটে জড়িত ব্যক্তিদের অর্থদণ্ড দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা। এক্ষেত্রে আইন ও প্রয়োগের নিরাপত্তা বিধান করা। এতটুকুর মধ্য দিয়ে নির্বাচনই রাষ্ট্র মেরামতের বড় চ্যালেঞ্জ। 

ঋতু বদলের মতো মানুষ বদলায়। এদেশ বাংলাদেশ। রাজনীতিবিদরা জনগণের ফালস বোঝে। ফাঁদ পেতে রাখে সুযোগ ও সুবিধার মাধ্যমে। রাজনীতিবিদরা তা কাজে লাগায়। দলীয় বিবেচনায় এদেশের মানুষ এক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িত। স্বার্থ ও সুবিধাবাদী গোষ্ঠী রাজনীতি করে নিজের আখের গোছাতে ব্যবসা বাঁচাতে ও বাঁচানোর ধান্ধায় পরস্পর আঁতাত রাখে। 

জনগণকে বোকা ও তিন পয়সার ছাগল মনে করে। এদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়  আর্থিকভাবে দুর্বল এবং অসচ্ছল জনগণ। জনগণের মধ্যে সাধারণ জনগোষ্ঠী রয়েছে। যারা পেশি শক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। বাস্তবতা হচ্ছে- আমাদের সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন। যদি কোনো দল নির্বাচন প্রক্রিয়া অপছন্দ করে তাহলে বুঝতে তাদের জনসম্পৃক্ত কম। 

জনসম্পৃক্ততা কম দিয়ে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন খুব কঠিন এবং টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করে। রাষ্ট্রে চেইন অব কমান্ডের জন্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে দ্রুত নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন দরকার। প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রধান ধাপ হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। ভোটের মাঠে প্রার্থী কতটা জনবান্ধন ও জনগণের আস্থা অর্জন করেছে তা দেখতে হলে জনসম্পৃক্ততা খেয়াল করতে হবে। নির্বাচিত সরকার রাজনৈতিক বিবর্তন, পরিমাপ ও বৈশ্বিক বিপ্লবের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে সহজ পথ তৈরি করে। 

পেশিশক্তি দিয়ে ক্ষমতা দখল ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা তা যেন না হয় সে বিষয়টি অনুধাবন ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট কিংবা অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের কাজ হচ্ছে- মিডল ফিল্ড, তথা- সমতা নিশ্চিত করা। যাতে সকল দল ও জনগণের ভোটাধিকারের পাশাপাশি জনবান্ধন সরকার গঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় ব্যালেন্স তৈরি করা। যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি করা। 

বর্তমানে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। সততা ও কর্মনিষ্ঠাই প্রার্থী নির্বাচনের প্রধান মাধ্যম। প্রার্থীকে অবশ্যই সৎ ও যোগ্য হতে হয়। প্রার্থী যখন প্রচারণায় নামে তখন এ ধরনের ভাষা প্রয়োগ করে। শুধু তা নয় সুকৌশলী শব্দসম্ভার ব্যবহার করে। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে, জনগণ বিশ্বাস করে কারণ বিশ্বাসই তাদের ভরসা। কথা এবং কাজে যথাযথ মিল থাকলে জনগণ তাকে স্মরণ করে এবং নেতা নির্বাচন করবে। 

প্রার্থী হিসেবে যার ভিন্নতা থাকে তাকে সবাই পছন্দ করে। পছন্দসই নেতা নির্বাচনের ব্যবস্থাও রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক বিবর্তন। জনগণের ন্যায্য অধিকার হচ্ছে ভোট। জনগণ ভোট দিতে চায়। ভোট আমার অধিকার। ভোট প্রদানের ক্ষেত্র যদি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হয়। কেন্দ্রে উপস্থিতি বাড়বে। ভোট বিপ্লবের মতো একটি মাধ্যমকে জনগণ জানাজা দিতে চাই না। জনগণ চায় ভোট ও যোগ্য নেতা কিন্তু এলিটশ্রেণির তোষণে কুক্ষিগত হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন ভোটের যথাযথ প্রয়োগ। 

ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারা আনন্দের যদি তা অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভোটের মাধ্যমে যা ফলপ্রসূ হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলে ভোটব্যবস্থা কার্যকর হয়ে ওঠে। জনগণ চায় ভোটাধিকারের মাধ্যমে তার পছন্দসই নেতা নির্বাচন করবে। মিছিল মিটিংয়ে তার পছন্দসই প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করবে এবং প্রচার ও প্রসার করবে। যিনি রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে শক্তিশালী করবেন। ন্যাশনালিজম তৈরি করবে। যে দফা দেব। তা যথাযথ পালন করবে। 

দাঙ্গা হাঙ্গামা, প্রতিহিংসা, একদম পছন্দ করে না। নেতার নেতৃত্ব হবে অবশ্যই গণতান্ত্রিক ও উদারপন্থি এবং দৃঢ়মনা। যে নেতা জনগণকে রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা প্রদান করবেন। তা বাস্তবায়নের গুণগত মাধ্যমও প্রদান করবেন। নির্বাচনী পদ্ধতি ও ভোট সে ধরনের কথা প্রচার করে। তা বাস্তবেও দেখাবেন। ভোট তখনই মূল্যবান হয়ে ওঠে যখন আদর্শিক নেতা নির্বাচিত হয়। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণের প্রধানতম অংশ পার্লামেন্ট অর্থাৎ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। পার্লামেন্ট ছাড়া রাষ্ট্র বিকলাঙ্গ ও অচল। 

রাষ্ট্রকে সচল ও গতিময় করতে হলে সংসদীয় নির্বাচন খুব জরুরি। রাষ্ট্রের কতগুলো অর্গান থাকে যেগুলো সম্পর্কে রাজনীতিবিদদের ধারণা থাকে। তাদের সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও ইচ্ছেশক্তির মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করে। সংসদ সভা ও বাজেট অধিবেশন জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়। বাজেট বিশ্লেষণের মাধ্যমে গুণগত বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়। পক্ষে বিপক্ষে দুর্দান্ত আলোচনা হয় এবং স্বেচ্ছাচারিতা লোপ পায়। মূলত জনগণকে প্রাধান্য দেয়া হয়। হঠাৎ গজিয়ে ওঠা কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। 

বাজেটে খাত অনুযায়ী বরাদ্দ থাকে। ছোট-মাঝারি ও মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মৌলিক চাহিদা পূরণ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় উন্নীতকরণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র পরিচালনা ও সুশাসনের জন্য নির্বাচিত সরকার কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তা সংসদীয় নির্বাচন স্পষ্ট হয় এবং জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটে। জাতীয় সংসদনেতা অধিকাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে রাষ্ট্রকে কার্যকর করা এবং উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা রাষ্ট্র বিনির্মাণ ও গণতন্ত্রের মূলধারা।

রাষ্ট্র মেরামত একটি বৃহৎ কাজ। একাজে মেধাবী ও যুগোপযোগী এবং ইতিহাসের ধারক ও বাহকদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। কাজের পরিধি নির্বাচন করে কতটুক প্রাসঙ্গিক ও জনআকাক্সক্ষা প্রতিফলন ঘটবে তা বিবেচনায় নিতে হবে। রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনায় আমলা নির্ভরতা আছে। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত এলিটশ্রেণি যারা মূলত রক্ষক কিন্তু এ কথা প্রমাণিত যে, তারা ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ। 

যাদের অধিকাংশই আর্থিক লগ্নির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। কেননা জনগণ এখন জানে বেগমপাড়ায় কারা থাকে। কারা ঘুষ ও দুর্নীতিগ্রস্ত। দেশের টাকা বিদেশে পাচারের সঙ্গে জড়িত। এগুলোতে পরিবর্তন আনতে হবে। বিশ্বাসে সংকীর্ণতা থাকতে পারে, চাটুকারিতা থাকতে পারে, দল মতের চর্চা থাকতে পারে, থাকাটা স্বাভাবিক। কারণ হিসেবে ধরা যেতে পারে স্বার্থ ও মোহ। কিন্তু রাষ্ট্রের প্রধান থাকবেন জনবান্ধব ও অভিভাবকের ভূমিকায় এবং নির্বাহী দায়িত্ব পালনে দেশ ও দশের মঙ্গল আনয়নে বদ্ধপরিকর। 

তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত জনসাধারণের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে জনগণের দুঃখ-কষ্ট পরিমাপ করা। যেদেশে গণতন্ত্র যত শক্তিশালী সেদেশ তত সমৃদ্ধ। বিশ্বের যে দেশে গণতন্ত্র স্থাপিত হয়নি সেদেশই বেশি স্বেচ্ছাচারী। শ্রেণিবিভাজন ও জনমতের বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে। রাষ্ট্রক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে নানা প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। 

সভ্যতা-সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য লুণ্ঠন হয়েছে। উদারচিন্তা ও মতাদর্শের স্খলন ঘটে। রাজতন্ত্র কিংবা অগণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা জনগণকে একধরনের ফোবিয়া খাওয়াতে সচেষ্ট হয়। তাতে মদদপুষ্ট হয়ে পুঁজিবাদী শক্তির ক্রমশই উত্থান ঘটে। বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়। অপসংস্কৃতি ও ধর্মান্ধতা ঝেঁকে বসে। রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে মুষ্টিমেয় জনগোষ্ঠীর মতামতকে প্রাধান্য দিতে হয়। 

বৈচিত্র্যময় দেশ বাংলাদেশ। এদেশের মানুষের মানসিকতা, প্রকৃতিপ্রেম ও ইতিহাস সংশ্লিষ্টজ্ঞান ব্যাপৃত। স্বাধীনচেতা জীবনব্যবস্থায় বিশ্বাসী। যখনই পরাধীনতা চেপে বসে তখনই দৃঢ়ভাবে দাঁড়ায়। পূর্বপুরুষের বিশ্বাস আস্থাশীলতায় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সূচনা হয়। এক্ষেত্রে যেমন দৃঢ়বিশ্বাস তেমনি গণতন্ত্র ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং গণতন্ত্র বিকাশে মনোহিতকর। 

পরাধীনতার বিষফোঁড়ে যখনই আবদ্ধ হয়েছে তখনই স্বাধীনতার উচ্ছ্বাসে ও সগৌরবে দাঁড়ায়। মাথা নত নয়- উচ্চকিত থাকবে। জাতির মধ্যে স্বাধীনতার স্বাদ তৈরি হলে কখনো আর পরাধীন থাকে না। নিজেকে উচ্চকিত রাখে। মুক্তির নেশায় বুঁদ জাতিকে দমন করে রাখা যায়। কখনো প্রকৃতি হয়ে আসে, কখনো উল্কা হয়ে আসে কখনো জনতার নেতা হয়ে আসে।

বাংলাদেশ জনসম্পদের দেশ। জনসম্পদকে কাজে লাগাতে রাষ্ট্রীয় চুক্তি হয়ে থাকে। রাষ্ট্রযন্ত্রে গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাণিজ্য চুক্তি সহজ হয়ে ওঠে। দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা তৈরি হয়। বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী প্রবাসে জীবনযাপন করে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিগত সরকারের মাধ্যমে শ্রমবাজার শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিদেশি শ্রমবাজার অধিক গুরুত্বপূর্ণ। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কারণে দেশ আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়ে উঠেছে। শ্রমবাজার বিনিয়োগ ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ধারা অধিকতর ভূমিকা রাখে।

অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্রে শ্রমবাজারের গুরুত্ব অধিক। বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তি ও শ্রমবাজারের গুরুত্ব বাড়াতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রধান ভূমিকা রাখে। রাষ্ট্র কাঠামোকে কার্যকর ও সাম্প্রতিক বিশ্বে দেশের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিকল্পে জাতীয় নির্বাচনই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সবচেয়ে বড় বিষয় স্থিতিশীলতা। স্ব-স্ব কর্মে মনযোগী হওয়া। গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে তা বিশদভাবে লক্ষ্য করা যায়। 

গতানুগতিক সমস্যা সংস্কারের পর জাতীয় নির্বাচন গ্রহণ করা যেতে পারে। এই দেশ আঠারো কোটি মানুষের। মানুষের জীবনমান ও আর্থিক উন্নতি,  প্রজšে§র শিক্ষাব্যবস্থা, বাজার সিন্ডিকেট, ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য,  চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করে দেশকে স্থিতিশীল করা বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্নই হবে গুণগত গণতন্ত্রের বিকাশ।

লেখক: প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট