জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে চাঁদপুরে 'অবাঞ্ছিত' ঘোষণার বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কাছে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা চেয়েছে। একইসঙ্গে, এনসিপি বিএনপির 'আগ্রাসী মনোভাব সম্পন্ন' নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার ভোরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

এনসিপি'র যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “চলতি সপ্তাহের শনিবার চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও তার কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে ‘সর্বাত্মক প্রতিরোধের’ ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা। আমরা এই হুমকির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সর্বাত্মক প্রতিরোধ’-এর ব্যাখ্যা জানতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এনসিপি প্রত্যাশা করে। দলটি মনে করিয়ে দেয় যে, “ইতোপূর্বে আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগের আমলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের সম্মুখসারির নেতাদের নিজ এলাকায় প্রবেশে বাধাপ্রদান, হুমকি-ধমকি ও হামলা করা হতো। আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি সেই একই কায়দার রাজনীতি ফেরত আনার চেষ্টাকারীদের জনগণের গণপ্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হবে।”

এনসিপি আরও জানায়, গত রমজানেও চাঁদপুরে নিজ উপজেলায় ইফতার আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়েছিলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

এনসিপি দৃঢ়ভাবে মনে করে যে, কোনো রাজনৈতিক মতামতের প্রতিক্রিয়ায় তার নিজ এলাকাতে ‘সর্বাত্মক প্রতিরোধের’ ঘোষণা কোনো রাজনৈতিক আচরণ হতে পারে না, বরং এটি হুমকিমূলক ও আগ্রাসী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নিজ এলাকায় তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। সেখান থেকেই তাকে প্রতিরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।