Image description

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা না যায়, তবে প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন এবং অনেক উপদেষ্টা বিদেশে তাদের পূর্বের আরাম-আয়েশের জীবনে ফিরে যাবেন। এর ফলে দেশ এক গভীর অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কারণেই আওয়ামী লীগ আবারও রাজপথে সক্রিয় হওয়ার সাহস পাচ্ছে।

সম্প্রতি একটি টকশোতে এসব মন্তব্য করেন রুমিন ফারহানা। অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি ফেব্রুয়ারির পর একদিনও থাকতে চান না। যদি রাজনৈতিক দলগুলো ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটি নির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারে, তবে তিনি সম্ভবত ফেব্রুয়ারির পর চলে যাবেন।"

এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলামের পূর্বের মন্তব্য উল্লেখ করে ফারহানা বলেন, "উপদেষ্টারা অনেকেই 'সেফ এক্সিট' খুঁজছেন। আমার মনে হয়, তাদের সেফ এক্সিট খুঁজতে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না। কারণ অধিকাংশ উপদেষ্টা দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী। তাই তাদের একটি বড় অংশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশের বাইরে, এমনকি বিশ্বের সেরা দেশগুলোতে ফিরে যেতে পারবেন। সুতরাং, তাদের প্রস্থান পথ খুঁজতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না।" তিনি যোগ করেন, এই তথ্যগুলো সাদা চোখে দেখলে সহজেই বোঝা যায় যে রাজনৈতিক দলগুলো যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হয়, তবে বাংলাদেশ গভীর অনিশ্চয়তায় পড়বে।

আওয়ামী লীগের ক্রমবর্ধমান তৎপরতা প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, "আওয়ামী লীগের মিছিল আগের চেয়ে অনেক বেশি ঘন ঘন হচ্ছে। আমরা দেখছি, আওয়ামী লীগের মিছিল ঢাকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়কে হচ্ছে এবং মিছিলের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ যথেষ্ট বড়। সুতরাং, আওয়ামী লীগ হাত-পা গুটিয়ে বসে নেই।" তিনি আরও বলেন, "শুরুর দিকে আমরা তাদের মধ্যে কিছুটা হতবিহ্বল বা হতচকিত অবস্থা লক্ষ্য করেছিলাম। কিন্তু এই সরকারের ধারাবাহিক ব্যর্থতা তাদের সেই সাহস দিয়েছে, যাতে তারা কোনো দুঃখ প্রকাশ বা অনুশোচনা ছাড়াই আবারও বীরদর্পে রাজনীতিতে ফেরার কথা চিন্তা করতে পারে।"